ঢেঁাঁড়াই চরিত মানস উপন্যাসটি ১ম খ- ১৯৪৯ ও ২য় খ- ১৯৫১ সালে প্রকাশিত হয়। বিহারের শহর জিরানিয়া, তার থেকে কিছু দূরে তাৎমাটুলি। তাৎমাদের বৃত্তি ঘরামি আর কুয়োর বালি ছাঁকা। তারা জাতে তাঁতি। তবে পাশেই ধাঙ্গড়টুলি। এই পরিবেশে পিতৃহীন, মাতৃ পরিত্যক্ত ঢোঁড়াই বড় হয়। এই তাৎমা ঢোঁড়াইকে লেখক গড়ে তুলেছেন রামচন্দ্রের নতুন সংস্করণ করে। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ পর্ব এর কাল-পরিধি। সমাজের নিম্নতম স্তরে রাজনৈতিক চেতনা কীভাবে প্রবেশ করে বদলে দেয় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, পরিবর্তিত করে এক ঢোঁড়াইকে ‘রামায়ণজী’তে, তার এক অসাধারণ আখ্যান এই গ্রন্থ। এই কাহিনিতে অন্তর্লীন হয়ে আছে তুলসীদাসের রামচরিতমানস। রাজনীতি ও সমাজ পরিবর্তন ও সমাজের অন্ত্যজ মানুষের বিশ্বস্ত রূপায়ণ এবং রামচরিতমানসের সঙ্গে আধুনিক কাহিনির অন্তর্বয়ন এই তিনদিক থেকে এই আখ্যান বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর অন্যতম।