মতভেদ মানেই বিভেদ না। জ্ঞানের অভাবে, বিচারবুদ্ধির অভাবে আমাদের এখানে ইখতিলাফ চর্চার নামে চলে আলিমদের নামে গিবত-চর্চা, অসম্মান আর দলাদলি। কী কী কারণে ইসলামি আইনে মতপার্থক্য হয়, মতভেদে আমরা কী করব তার বিস্তারিত সুরাহা থাকছে এই বইতে।
৳ 250.00
লেখক | শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ:) |
---|---|
প্রকাশক | ইলহাম |
ভাষা | বাংলা |
পৃষ্ঠার সংখ্যা | ১৬৮ |
সংস্কার | 1st Published, 2021 |
দেশ | বাংলাদেশ |
মতভেদ মানেই বিভেদ না। জ্ঞানের অভাবে, বিচারবুদ্ধির অভাবে আমাদের এখানে ইখতিলাফ চর্চার নামে চলে আলিমদের নামে গিবত-চর্চা, অসম্মান আর দলাদলি। কী কী কারণে ইসলামি আইনে মতপার্থক্য হয়, মতভেদে আমরা কী করব তার বিস্তারিত সুরাহা থাকছে এই বইতে।
Shah Oaliullah Muhaddise Dehalabhi (Rah.) কুতুবউদ্দিন আহমাদ ইবনু আবদুর রহিম। যিনি শাহ ওয়ালিউল্লাহ নামে পরিচিত (১৭০৩-১৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ/১১১৪-১১৭৬ হিজির) ছিলেন। ভারতীয় উপমহােদেশর একজন ইসলামি পন্ডিত, সংস্কারক এবং আধুিনক ইসলামি চিন্তার একজন প্রতিষ্ঠাতা। সাম্প্রতিক পরিবর্তেনর আলােকে তিনি ইসলািম আদর্শেক বাস্তবায়ন করেত চেয়েছিলন। শাহ ওয়ালিউল্লাহ মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর চার বছর পূর্বে ১৭০৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বংশতালিকা সাহাবি উমর ইবনুল খাত্তাব রা.-এর পরিবার পর্যন্ত পৌঁছায়। দিল্লিতে তার পিতা শাহ আবদুর রহিম কর্তৃক প্রতিষ্টিত মাদরাসায় তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা লাভ করেন। কুরআেনর পাশাপাশি তিনি আরবি ও ফারসি ব্যাকরণ, সাহিত্য এবং উচ্চস্তরের দর্শন,ধর্মতত্ত্ব, অধিবিদ্যা, অতীন্দ্রয়িতা ও আইনশাস্ত্রের ওপর পাঠ নেন। ১৫ বছর বয়েস তিনি এখান থেকে উত্তীর্ণ হন। একই বছর তার পিতা তাকে নকশবন্দিয়া তরিকায় পদার্পণ ঘটান। মাদরাসায়ে রহিমিয়াতে তিনি তার পিতার অধীনে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৭১৮ সালের শেষের দিকে পিতার মৃত্যুর পর তিনি মাদ্রাসার প্রধান হন এবং বারো বছর যাবত্ শিক্ষার্থীেদর শিক্ষাদান করেন। এ সময় তিনি তার নিজস্ব পড়াশোনা চালিয়ে যান। শিক্ষক হিসেবে তার সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং শিক্ষার্থীরা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। ১৭২৪ সালে তিনি হজ পালনের জন্য হেজাজ গমন করেন। তিনি সেখানে আট বছর অবস্থান করেন এবং আবু তাহের বিন ইবরাহিম কুর্দি মাদানির মতো পণ্ডিতদের কাছ থেকে হাদিস ও ফিকহ শিক্ষালাভ করেন। এ সময় তিনি মুসিলম বিশ্বের সকল প্রান্তের লােকের সংস্পর্শে আসেন এবং বিভিন্ন মুসিলম দেশের অবস্থা সম্পর্কে জানেত পারেন। এ সময় তিনি ৪৭ টি আধ্যাত্মিক বিষয় দেখতে পান, যা তার বিখ্যাত রচনা ‘ফুয়ুযুল হারামাইন’-এর বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। ১৭৩২ সালে তিনি দিল্লি ফের আসেন এবং ১৭৬২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জীবনের বাকি সময় এখানে অতিবাহিত করেন ও লেখালেখি চালিয়ে যান। তার সবেচেয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অধিবিদ্যাসহ সম্পূর্ণ ধর্মতাত্ত্বিক বিষেয়ও তিনি লিখেছেন। ইসলােমর প্রকৃত ও আদর্শরূপ বিষয়ে তার মত তিনি এসব লেখায় তুলে ধরেন। মারাঠা শাসন থেকে ভারতকে জয় করার জন্য তিনি আহমেদ শাহ দুররানির কাছে চিঠি লেখেন। তিনি আরবি থেকে ফারসিতে কুরআন অনুবাদ করেন, যাতে মুসলিমরা কুরআনের শিক্ষা বুঝতে পারে অবেশেষ ১৭৬২ খৃষ্টাব্দে তিনি মহান প্রতিপালেকর ডাকে সাড়া দিয়ে ইহজীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করুন।