জীবন ও কর্ম : আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান

৳ 600.00

লেখক ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী
প্রকাশক মাকতাবাতুল ফুরকান
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849492979
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৪০০
সংস্কার 1st Published, 2021
দেশ বাংলাদেশ

উমাইয়া বংশের পঞ্চম খলিফা ছিলেন আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান। খলীফা হওয়ার আগে এবং পরে তার জীবন দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বলয়ে আবর্তিত হয়। খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন মদীনার প্রসিদ্ধ ফকীহ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী এবং একনিষ্ঠ ধার্মিক ব্যক্তি। এসময় তিনি সাহাবায়ে কেরামের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লালন করতেন। কিন্তু খেলাফতে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরেই তার এই চরিত্র পাল্টে যায়।
তিনি তার শাসনামলে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থা, কৃষিব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নতি সাধন করলেও সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ভিন্ন মত ও পথের লোকদের ওপর ব্যাপক জেল-যুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন। বিশেষত তার শাসনামলে ইরাক এবং পূর্বাঞ্চলের গভর্নর হিসেবে হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে নিয়োগ দিয়েছিলেন; যে আব্দুল মালিকের শাসনকে পোক্ত করার জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা.-সহ বহু সাহাবী এবং অসংখ্য বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ ইসলামী পণ্ডিতদের হত্যা করেছে, বন্দী করে নির্যাতন করেছে। ইসলামের অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা এবং খেলাফতের ধারাবাহিকতা জানার ক্ষেত্রে আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের জীবনী অধ্যয়ন করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যেই বক্ষমাণ গ্রন্থটিতে তার জীবনী বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

ফকিহ, রাজনীতিক ও বিশ্বখ্যাত ইতিহাসগবেষক। ইসলামের ইতিহাসের উপর বিশ্লেষণধর্মী তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই মহা মনীষী ১৯৬৩ সনে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা বেনগাজিতেই করেন। যৌবনের প্রারম্ভেই গাদ্দাফির প্রহসনের শিকার হয়ে শায়খ সাল্লাবি আট বছর বন্দি থাকেন। মুক্তি পাওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি সাউদি আরব চলে যান। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও উসুলুদ্দিন বিভাগ থেকে ১৯৯৩ সনে অনার্স সম্পন্ন করেন। তারপর চলে যান সুদানের উম্মু দুরমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে উসুলুদ্দিন অনুষদের তাফসির ও উলুমুল কুরআন বিভাগ থেকে ১৯৯৬ সনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯৯ সনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘ফিকহুত তামকিন ফিল কুরআনিল কারিম’। ড. আলি সাল্লাবির রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত ফকিহ ও রাজনীতিক ড. ইউসুফ আল কারজাবি। কারজাবির সান্নিধ্য অর্জনে তিনি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কাতার গমন করেন। নতুন ধারায় সিরাত ও ইসলামি ইতিহাসের তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে ড. আলি সাল্লাবি অনুসন্ধিৎসু পাঠকের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নবিজির পুর্ণাঙ্গ সিরাত, খুলাফায়ে রাশিদিনের জীবনী, উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসি খিলাফত, উসমানি খিলাফতের উত্থান-পতনসহ ইসলামি ইতিহাসের সাড়ে তেরোশ বছরের ইতিহাস তিনি রচনা করেছেন। তা ছাড়া ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করা ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি আলাদা আলাদা গ্রন্থ রচনা করেছেন। ড.

আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির রচনা শুধু ইতিহাসের গতানুগতিক ধারাবর্ণনা নয়; তাঁর রচনায় রয়েছে বিশুদ্ধতার প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা, জটিল-কঠিন বিষয়ের সাবলীল উপস্থাপনা ও ইতিহাসের আঁকবাঁকের সঙ্গে সমকালীন অবস্থার তুলনীয় শিক্ষা। এই মহা মনীষী সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ ও উলুমুল কুরআনের উপর আশির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচনাবলি ইংরেজি, তুর্কি, ফরাসি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়ে পৃথিবীর জ্ঞানগবেষকদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘ, নিরাপদ ও সুস্থ জীবন দান করুন। আমিন। —সালমান মোহাম্মদ লেখক, অনুবাদক ও সম্পাদক ২৪ মার্চ ২০২০


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ