মিলনের বিষয়টি নানাভাবে হতে পারে। আর তা যদি কবিতার হয় তবে যোগ হয় অন্য মাত্রা। কামরুল হাসান রচিত চাঁদপাখির জলকাব্য এবং তারই আলোকে উম্মে হাবিবা ঊর্মির রচনা ‘প্রত্যুত্তর কবিতা’ সেই মিলনরেখাটি প্রসারিত করেছে বলে আমার বিশ্বাস।
একটি কবিতা পাঠান্তে তার মর্মকে ধর্ম মেনে অন্য একটি কবিতা রচনা করা যেন পরস্পরের অবগাহনস্থলকে কেন্দ্ৰমুখে নিয়ে আসা। এক বিন্দুর বিপরীত তখন অন্য বিন্দু সৃষ্টি করে নতুন অভিঘাত। উদাহরণ দিই : ‘সানাই বাজাতে বাজাতে হৃদয়যাত্রায় যদি যাও,/যেয়ো লজ্জাবতী বৃক্ষের কাছে।’ এটি কামরুল হাসানের রচনা। এর প্রত্যুত্তর কবিতায় উম্মে হাবিবা ঊর্মি লিখছেন- ‘আমি লজ্জাবতী বৃক্ষ হবো-/তুমি ছুঁয়ে দিও,/ছুঁয়ে দিলেই গুটিয়ে যাবো।’ আমরা একে কথোপকথনেরও একটি রূপ হিসেবে নিতে পারি। নিতে পারি প্রশ্ন ও উত্তরের মধ্যে পুরুষ ও নারীর বাণীবদ্ধ প্রকাশ হিশেবে। কবিতা এমন এক শিল্প, যার ঔষ্ঠ্য থেকে অঙ্গুলি পর্যন্ত বিচরণ করে এক মগ্ন অভিসার, অবিচ্ছিন্ন শোভাযাত্রা। কবির রচনা তাই সময় অতিক্রম করে নেত্রপথে ধরে মুগ্ধ মায়া। কামরুল হাসান ও উম্মে হাবিবা ঊর্মির এ যৌথ কবিতা-অভিযান মঙ্গলের পথে, সুন্দরের পথে নিষ্ঠ থাকুক।