কবীরা গুনাহ

৳ 160.00

লেখক ইমাম আয-যাহাবী রহ.
প্রকাশক আহসান পাবলিকেশন
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৯৮
সংস্কার 10th Published, 2019
দেশ বাংলাদেশ

পাপ-পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত মানব সমাজের সামাজিক, নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয়ের মূলে রয়েছে ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কিত জ্ঞানের স্বল্পতা। হালাল-হারাম, করণীয়-বর্জনীয়, তথা ইসলামের সঠিক রূপরেখা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব মানুষকে নৈতিক অধঃপতনের দিকে মনােনিবেশ করছে। এ গ্রন্থে ইমাম আহ্ যাহাবী (রহ) বর্জনীয় আকীদা-বিশ্বাস, কাজ-কর্ম, আচার-অনুষ্ঠান তথা কবীরা গুনাহসমূহ সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় কুরআন, হাদীস ও ফিকাহর আলােকে আলােচনা-পর্যালােচনার প্রয়াস পেয়েছেন। এছাড়া মুসলিম মনীষীদের মর্মস্পর্শী ও হৃদয়গ্রাহী বিভিন্ন কাহিনী উপস্থাপন, ক্ষেত্র বিশেষে লেখকের নসীহতপূর্ণ উপদেশ বাণী সংযােজন করে একে পাঠকদের জন্য করে তুলেছেন চিত্তাকর্ষক ও সুখ পাঠ্য। তবে এসব ক্ষেত্রে তিনি সেসব কাহিনীর কোন প্রমাণ উল্লেখ করেননি।

ইমাম যাহাবীর ছাত্র তাজ-উদ-দীন আব্দুল ওয়াহ্‌হাব আস-সুবকী বলেন, “আমাদের শাইখ ও উস্তায ইমাম হাফেয শামসুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহ আত-তুর্কমানী আয-যাহাবী যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস। তিনি নজির-বিহীন। তিনি এমন এক গুপ্তধন, যার কাছে আমরা সমস্যায় পতিত হলে ছুটে যাই। হিফযের দিক থেকে সৃষ্টিজগতের সেরা। শাব্দিক ও অর্থগতভাবে তিনি খাঁটি সোনা। ‘জারহ ও তাদীল’ শাস্ত্রের পণ্ডিত। ‘রিজালশাস্ত্রে’ তিনিই বিজ্ঞ। যেন সমগ্র উম্মাহর লোকজনকে একটা প্রান্তরে একত্র করা হয়েছে, আর তিনি তাদের দেখে দেখে তাদের ব্যাপারে বলছেন। তার জন্ম ৬৭৩ হিজরী সনে। আঠার বছর বয়সে তিনি হাদীস অন্বেষণ শুরু করেন। দামেস্ক, বা‘লাবাক্কা, মিশর, আলেকজান্দ্রিয়া, মক্কা, আলেপ্পো, নাবুলসসহ নানা শহরে তিনি গমন করেন। তার শাইখের সংখ্যা অগণিত। তার থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ হাদীস শুনেছে। তিনি হাদীস-শাস্ত্রের খেদমতে রত ছিলেন, এমনকি এ ব্যাপারে গভীর জ্ঞানে পৌঁছেছেন। দামেস্কে অবস্থান নিলেন। সকল দেশ থেকে তার উদ্দেশ্যে লোকজন আসতে থাকল। ‘আত-তারীখুল কাবীর’ তিনি রচনা করলেন। আরও লিখলেন ‘আত-তারীখুল আওসাত্ব’ যেটা ‘ইবার’ নামেও পরিচিত। সেটা বেশ সুন্দর। আরেকটা ছোট বই লিখেলেন, ‘দুওয়ালুল ইসলাম’। এছাড়া ‘কিতাবুন নুবালা’ ও ‘আল-মীযান ফিদ-দুয়াফা’ রচনা করেন। শেষোক্ত বইটি সর্বশ্রেষ্ঠ বই। আরও রচনা করেন ‘সুনান বাইহাকী’র মুখতাসার। এটিও ভালো। লিখেছেন ‘ত্বাবাকাতুল হুফ্‌ফায’, ‘ত্বাবাকাতুল ক্বুর্‌রা’-সহ আরও নানা সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ। বিভিন্ন রেওয়ায়াতে তিনি কুরআন শিখেন এবং শিক্ষা প্রদান করেন। ৭৪৮ হিজরী সনে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কিছু দিন আগ থেকে তিনি চোখের জ্যোতি হারিয়েছিলেন।” [ত্বাবাকাতুশ শাফেইয়্যা আল-কুবরা: (৯/১০০-১২৩)।]


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ