তিরতির করে কাঁপতে কাঁপতে শুকনাে বাঁশপাতা ঝরে পড়ছে। উঠানের ওপর এত বড় বাঁশঝাড় মােটেও ভালাে লাগে না দৌলতন নেছার। পাড়াপড়শির ধান শুকিয়ে যায় বেলা গড়ানাের আগেই, দুলুর ধান শুকায় না। দুলুর হাতে লম্বা একটি কঞ্চি, এটা উঁচু করে তিনি বলেন, হুঁস হুঁস। তখন শালিকের ঝাঁক ধানের ওপর থেকে উড়ে পালায়। দুলুর দুই মেয়ে উঠানের অন্য পাশে মাটিতে দাগ কেটে ছি কুত কুত খেলছে। ছােট দুই ছেলে বানরের মতাে পেয়ারাগাছে ঝুলে আছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে একটি তিলা ঘু ঘু ‘অতিথি ফুররর ফুর করে ডাকছে। দুলু তখন নিজের স্ফীত উদরের দিকে তাকায়। ঘুঘুর ডাকে বাঁশঝাড়টা যেন মুহূর্তেই অন্যরকম হয়ে যায়, তখন এটাকে দুলুর আর খারাপ লাগে না।