এ কঠিন সত্য কথা মেনে নিতে বড় কষ্ট হয়। ফকির আলমগীর এই সুন্দর পৃথিবীতে নেই। তাঁর কর্মময় জীবনগাঁথা তাঁর অমর সৃষ্টির মাঝে কোটি মানুষের হৃদয়ে করে নিয়েছেন ঠাঁই। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে ‘মায়ের মুখ বইটির পাণ্ডুলিপি দিয়ে গিয়েছিলেন ‘রিদম প্রকাশনা সংস্থা’-কে। বড় দুঃখের বিষয় ভূমিকা লিখেও যেতে পারেন নি। মা ভক্তির বহিঃপ্রকাশ এই মায়ের মুখ বইটি। ‘মায়ের একধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোষ বানাইলেও ঋণের শোধ হবেনা- এমন দরদী ভবে কেউ হবে না, আমার মা গো।’ মা’ভক্তির ধারাবাহিকতার প্রতিফলন তাঁর লিখা এই ‘মায়ের মুখ’ বইটি। মায়ের মমতা মাখা মুখটি আর মায়ের হৃদয়ের উৎসারিত সকল ভালবাসায় মমতার চাঁদরখানির পরশে তাবৎ দুনিয়ার মায়ের হৃদয়ে স্থান করেছেন। তাঁর আত্মা শান্তি পাবে এই ‘মায়ের মুখ’ বইটি প্রকাশ হলে। ফকির আলমগীর-এর মতো আমিও বলতে চাই প্রতিটি সন্তানের ঘর আর হৃদয় হয়ে উঠুক মায়েদের একমাত্র আশ্রম। মায়ের দোয়ায় তাঁর সার্থক জনম কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে। তাঁর জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করি। মহান আল্লাহ তা’য়ালা তাঁকে জান্নাতবাসী করুন – আমিন।