বিশ্বসাহিত্যের সুরম্য ও বিস্তৃত উদ্যানে বাংলা সাহিত্যের কুসুমের সৌরভ রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর উত্তরসাধকদের মাধ্যমে ক্রমবিস্তারমান। রবীন্দ্র- উত্তরসাধকগণের মধ্যে অদ্যাবধি সর্ববিবেচনায় কাজী নজরুল ইসলাম এমন সুরভির এক পরম উৎস। তাঁর স্বল্পদীর্ঘ জীবনে তিনি যে সাহিত্য রচনা করেছেনÑ তা তাঁরই বাচ্যে ছিল সাধনাপ্রতিম। সাহিত্যকর্মের রূপভেদ গল্প-প্রবন্ধ-উপন্যাস-কাব্য-নাটক-সংগীত- চিঠিপত্র-বক্তৃতা-প্রত্যয়ন প্রভৃতিকে আশ্রয় করে অনেক অসাধারণ কথা বলেছেন এবং উক্তি করেছেন সেগুলোর সর্বজনীনতা, চিরন্তনতা, দার্শনিকতার নিরিখে কালোত্তীর্ণ এবং অনাগত মহাকালে মানবজাতির শ্রেষ্ঠ ও পরমসম্পদ। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বাঙালি মহাপুরুষদের বাণীসংগ্রহ পাওয়া গেলেও নজরুলের বাণী সংকলন খুব বিরলদৃষ্ট। সেই অভাব সামান্য হলেও পূরণ করবে নজরুল সাহিত্যের মণিমঞ্জুষাÑ এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।