অরিত্রের জন্মের পর নানুমনি তাকে আহলাদ করে ডাকত ‘তুকুন’। কিন্তু অরিত্র সামান্য বড় হতে হতে আধো আধো বোলে তার নানুমনিকেই উল্টো ডাকতে লাগল ‘তুতুন’! কিন্তু ‘তুকুন’ ঠিকঠাক বলতে পারল না। সে এক আজব ঘটনা! ছোট একটা বাচ্চা, কী করেই বা সব ঠিকঠাক বলতে পারবে সে। এজন্য অরিত্রর কাছে নানুমনির নাম হয়ে গেল ‘তুতুন’। নানুমনির কাছে অরিত্র তো সেই ‘তুকুনই’ রইল, মানে তুতুন। এই উপন্যাস সেই অরিত্র মানে ‘তুতুনের’ প্রতিদিনের নানান কা-কারখানা। যেমন সে ডিমকে বলে ‘ডি’। ঝড়বৃষ্টি হলেই দৌড়ে ব্যালকনিতে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে- ‘ধুমধুমবিত্তি’। নানুমনির চোখের চশমাকে সে বলে ‘পত্তা’। তুতুনের আরও একটা ছোট ভাই জন্ম নিল, তার নাম অভ্রতনু। এরপর দুই ভাই মিলে কী যে সব হুলস্থুল কা- ঘটাতে লাগল- সেসবের চমৎকার বয়ান হলো এই উপন্যাস। এই গ্রন্থ শিশু-কিশোরদের প্রভূত আনন্দ দিবে, এমনটাই আশা করছি আমরা।