আলোয় ছায়ায়

৳ 225.00

লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত)
আইএসবিএন
(ISBN)
8172156766
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৯০
সংস্কার 4th Printed, 2014
দেশ ভারত

“আলোয় ছায়ায়” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ধুলিধূসর প্রাত্যহিকতা থেকে অনেক দূরে, রিখিয়ার স্তব্ধ নির্জনতায় ছবি আঁকার জগতে একাকী জীবনযাপন করছিলেন যে-শিল্পী, তাঁর হৃদয়ে জন্ম নিল এক অদ্ভুত প্রতিহিংসার নীলাভ আগুন। শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায়ের কলমে সেই অগ্নিসঞ্জাত তীব্র দহনের কাহিনী। গােয়েন্দা পুলিশ অফিসার শবরের মুখ থেকে খবরটা শুনে শিল্পী সর্বজিৎ সরকার স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। তাঁরই স্ত্রী ও দুই কন্যার দশটি বিভিন্ন ন্যুড ছবি কলকাতার একটি প্রদর্শনীতে দেখানাে হচ্ছে। কে আঁকল এই সিরিজ ? যদিও তাঁর পারিবারিক জীবন বিধ্বস্ত হয়ে গেছে, তবু স্বামী ও পিতা হিসেবে এ-কাজ করা সর্বজিতের পক্ষে অসম্ভব। তিনি সে-কথা জোর দিয়ে ঘােষণাও করলেন। তাহলে কোন সে শিল্পী ? অবশ্য স্ত্রী ইরার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রতিহিংসাপরায়ণ সর্বজিৎই এমন বিকৃত পথ বেছে নিয়ে তাদের হেয় করতে চেয়েছেন। আর্ট কালেকটার সিংঘানিয়া ও চিত্র-সমালােচকদের ধারণা, ছবিগুলাে সর্বজিতেরই আঁকা। হঠাৎ সিংঘানিয়া খুন হয়ে গেলেন। শবর আবার এল রিখিয়ায়। সেখানে রহস্যের পর্দা উঠল এক অবিশ্বাস্য চমকে। টানটান এই উপন্যাসে চিত্রিত জীবনের উল্টো পিঠের দুরন্ত ছবি।

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ সালের ২রা নভেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের টালমাটাল সময়ে পরিবারসমেত কলকাতা পাড়ি জমান। বাবার চাকরির সুবাদে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শৈশব কেটেছে তার। কোচবিহার বোর্ডিং স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন তিনি। মাধ্যমিক পাস করেন কোচবিহার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে। পরে কলকাতা কলেজ থেকে বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। শীর্ষেন্দু তার পেশাজীবন শুরু করেন শিক্ষকতার মাধ্যমে। দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেছেন কিছুদিন। বর্তমানে সাহিত্য পত্রিকা দেশ-এর সহকারী সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ছোটবেলা থেকেই ভীষণ বইপড়ুয়া ছিলেন। হাতের কাছে যা পেতেন তা-ই পড়তেন। খুব ছোটবেলাতেই তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানিক বন্দোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় এর মতো লেখকদের রচনাবলী পড়ে শেষ করেছেন। এই পড়ার অভ্যাসই তার লেখক সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলে। ১৯৫৯ সালে দেশ পত্রিকায় তার প্রথম গল্প ‘জলতরঙ্গ’ প্রকাশিত হয়। দীর্ঘ ৭ বছর পর দেশ পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘ঘুণপোকা’। এরপর থেকেই নিয়মিত লিখতে থাকেন তিনি। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর বই এর সংখ্যা দু’শতাধিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস পার্থিব, দূরবীন, মানবজমিন, গয়নার বাক্স, যাও পাখি, পারাপার ইত্যাদি। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর রহস্য সমগ্র রহস্যপ্রেমীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রায় ৪০ এর অধিক রহস্য গল্প প্রকাশিত হয়েছে ‘অদ্ভুতুরে সিরিজ’ নামকরণে। মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি, ভুতুড়ে ঘড়ি, হেতমগড়ের গুপ্তধন, নন্দীবাড়ির শাঁখ, ছায়াময় ইত্যাদি এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু ছোটগল্প রচনা করেছেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর বই সমূহ দুই বাংলায় পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে সমানতালে। এছাড়াও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর বই সমগ্র অবলম্বনে বিভিন্ন সময় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তার উপন্যাস ‘যাও পাখি’ এবং ‘মানবজমিন’ নিয়ে বাংলাদেশেও ধারাবাহিক নাটক নির্মিত হয়েছে। তার সৃষ্ট চরিত্র শাবর দাশগুপ্ত এবং ধ্রুব পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। সাহিত্যে অবদানের জন্য অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা উপন্যাস ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’র জন্য ১৯৮৫ সালে ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পান। ১৯৭৩ এবং ১৯৯০ সালে পেয়েছেন ‘আনন্দ পুরস্কার'। ১৯৮৮ সালে ‘মানবজমিন’ উপন্যাসের জন্য অর্জন করেন ‘সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার’। এছাড়াও, ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ লাভ করেন তিনি।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ