ঝিন্দের বন্দী

৳ 540.00

লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশক আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত)
আইএসবিএন
(ISBN)
9788170664109
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৫৫
সংস্কার 2nd Edition, 2010
দেশ ভারত

“ঝিন্দের বন্দী” বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা:
মধ্যভারতের ছোট্ট স্বাধীন রাজ্য ঝিন্দ।রাজা ভাস্কর সিংহের মৃত্যুর পর শঙ্কর ও উদিত দুই ছেলের মধ্যে সিংহাসন নিয়ে শুরু হল বিরোধ, অভিষেকের ঠিক আগে শঙ্কর সিং নিখোঁজ হলেন। এদিকে কলকাতার এক বাঙালি ছেলে গৌরীশঙ্কর রায়কে হুবহু শঙ্কর সিংহের মতো দেখতে। তাকেই শঙ্কর সিং বলে সিংহাসনে বসাতে উদ্যত হলেন ঝিন্দের পুরনো কিছু রাজকর্মী। অভিষেক সম্পন্ন বিবাহ পর্যন্ত স্থির।
কিন্তু সহজে তা মেনে নেবেন কেন উদিত সিং? শঙ্কর সিং তো নিখোঁজ নন, বন্দী করে রাখা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু কোথায়? শঙ্কর সিং কি মুক্তি পাবেন ? গৌরীশঙ্কর কি লুকিয়ে রাখতে পারবেন তাঁর আসল পরিচয় ? তাছাড়া, তাঁর সঙ্গে এমন চেহারাগত অবিকল সাদৃশ্যই বা কেন মধ্যভারতের স্বাধীন রাজ্যের এক রাজকুমারের ?
আগের এক কৌতুহলকর নাটকের যবনিকা কীভাবে ফের উত্তোলিত হল, কীভাবে সব রহস্যের ঘটল আশ্চৰ্য সমাধান, তাই নিয়ে অপূর্ব রোমান্স ও রোমাঞ্চে-ভরা এক কালজয়ী “ঝিন্দের বন্দী’।
এ-কাহিনীর উৎস বিদেশি, কিন্তু বিস্ময়কর মুনশিয়ানায় পটভূমি ও চরিত্রাবলীকে পুরোপুরি ভারতীয় করে তুলেছেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম প্রকাশের দিন থেকে আজও জনপ্রিয় এই উপন্যাস।

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মেছিলেন ১৮৯৯ সালের ৩০ মার্চ, ভারতের উত্তর প্রদেশের জৌনপুর শহরে। তাঁর আদিনিবাস উত্তর কলকাতার বরানগর কুঠিঘাট অঞ্চলে। লেখক হিসেবে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতা বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস জগতে বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়েছেন অমর গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী, যা প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিল ১৯৩২ সালে 'সত্যান্বেষী' গল্পের মাধ্যমে। শুধু উপন্যাস বা গল্প সংকলন নয়, বাংলা সাহিত্যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাও কম রেখে যাননি। ২২টি কবিতার সংকলন নিয়ে প্রকাশিত 'যৌবন-স্মৃতি' ছিল তাঁর প্রকাশিত প্রথম বই। ১৯১৯ সালে তিনি বি. এ. পরীক্ষায় পাশ করে কলকাতা ছেড়ে সুদূর পাটনায় গিয়ে থাকতে শুরু করেন এবং সেখানেই আইন নিয়ে পড়াশোনা চালাতে থাকেন। আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে একদম পুরোপুরিভাবে গল্প ও উপন্যাস লেখায় ঝুঁকে পড়েন। ১৯৩৮ সালে পাটনা ছেড়ে মুম্বাই যান বলিউডে কিছু কাজের উদ্দেশ্যে এবং ১৯৫২ সালে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে সমস্ত চুক্তি বাতিল করে মুম্বাই ছেড়ে পুনে চলে আসেন। সেখানে থাকাকালেই একের পর এক প্রকাশিত হতে থাকে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ যার বেশিরভাগই ছিল ভৌতিক, রোমান্টিক ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কীয় গল্প। ব্যোমকেশ সমগ্র ছাড়াও 'গৌড়মল্লার', 'তুমি সন্ধ্যার মেঘ', 'তুঙ্গভদ্রার তীরে' এর মতো দুর্দান্ত সব উপন্যাস আছে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই এর তালিকায়। শুধু বাংলা নাটক বা চলচ্চিত্র না, তাঁর লেখা ব্যোমকেশ বক্সী জায়গা করে নিয়েছিল হিন্দি টিভি সিরিজ ও হিন্দি চলচ্চিত্রেও। অর্জনের ঝুলিতে অনেক পুরষ্কারের মাঝে তাঁর রয়েছে রবীন্দ্র পুরষ্কার, যা তিনি পেয়েছিলেন 'তুঙ্গভদ্রার তীরে' উপন্যাসটি লিখে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পান শরৎ স্মৃতি পুরস্কার। ১৯৭০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এই লেখকের জীবনাবসান ঘটে।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ