“কিরীটী রায়” বইয়ের সূচীপত্র:
* ভূমিকাঃ কিরীটী রায়
* সংকেত
* বাঘনখ
* রক্তমুখী নীলা
* রেশমী ফাঁস
* পদ্মদহের পিশাচ
* পঞ্চমুখী হীরা
* নেশা
* রহস্যভেদী
* কালোহাত
* প্রহেলিকা
* বত্রিশ সিংহাসন
* স্বর্ণমূর্তি
* বিষের ধোঁয়া
* রহস্যের যবনিকা
* বেলেডোনা
* ছায়া-মৃত্যু
* চিতাবাঘ
* ১৩নং ঘর
* রক্ত-গেরুয়া
* মাছি
* রাত্রি বারটায়
* মৃত্যুবিষ
* মৃত নক্ষত্র
* পদ্মিনী
শেষ ফ্ল্যাপের কথা:
গল্প উপন্যাস পড়ে কৌতুহল কতকটা মেটে—কিন্তু পুরোটা মেটে না। ভেতরে ভেতরে কীতুহলের অসহ পীড়নে জর্জরিত হবার যে চিরকালীন প্রবৃত্তি মানুষের মধ্যে থাকে, সেই প্রায়-স্যাডিস্ট প্রবৃত্তি মেটাবার প্রয়োজনেই গোয়েন্দা-কাহিনী রচনার কথা মনে এসেছিল মানুষের।
তবু, যতদিন গল্প,উপন্যাসে আখ্যানভাগের ওপরই বেশি জোর দেওয়া হত-ততদিন গোয়েন্দা-কাহিনী বা অপরাধ-কাহিনীর তত চাহিদা হয়নি। যেদিন থেকে নিরতিশয় ইনটেলেকচুয়াল লেখকেরা সাধারণ গল্পের মধ্যে বকুনি ও তত্ত্বের কচকচানি শুরু করেছেন সেইদিন থেকেই এই সব অপরাধমূলক কাহিনীর চাহিদা বেড়েছে। বিলেতে তো সৎসাহিত্য বলতে যা সাধারণত বোঝায়। সেই পুস্তকের চেয়ে সংখ্যায় অন্তত দশগুণ (হয়তো আরও বেশি ), থ্রিলার বা ক্রাইম নভেলস বেরোচ্ছে। রাশি রাশি, নানা ধরন ও নানা বরণের।
বাংলাদেশের কিশোর সাহিত্যেও গোয়েন্দা-কাহিনীর বুলি নিয়ে দেখা দিলেন দুই জাত-বৈদ্যু-একজন হেমেন্দ্ৰকুমার রায়, অন্যজন বন্ধুবর ডাঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত। জয়ন্ত-মানিকের এবং পরবর্তীকালে কিরীটী-সুব্রতর আবির্ভাবে বাংলা দেশের কিশোর কিশোরী মহলে যে চাঞ্চল্য জেগেছিল। সে বিষয়ে সকলেই অবহিত।
নীহারবাবু প্রখর বুদ্ধিমান ব্যক্তি। ইউরোপের ছায়া যে বাংলাদেশে এসে পড়তে দেরি হবে না এটা তিনি পূর্বাস্ত্রেই বুঝতে পেরেছিলেন। বুঝেছিলেন যে আমাদের দেশেও যে রকম উন্নাসিক সাহিত্য দেখা দিয়েছে তাতে সাধারণ পাঠক ওই সব আখ্যানহীন গল্প ছেড়ে তাদের চিরন্তন কীতুহল মেটাবার জন্য চিত্তের নূতন খাদ্য খুঁজবে। তাই তিনি প্রথমত কিরীটিী রায়কে কিশোরদের আসরে নামালেও সেখান থেকে সরিয়ে আনতে বিলম্ব করেননি। কিরীটী রায় পরিণত বুদ্ধি পাঠকদের আসরে দেখা দিলেন এবং দেখতে দেখতে আসার জমিয়ে বসলেন। কিরীটী রায়ের এতগুলো (২৪টি) ছোট বড় মাঝারি গল্প একসঙ্গে একটি বইতে পাওয়া কিরীটী রায়ের পাঠকদের পক্ষে একটি স্মরণীয় ঘটনা নিঃসন্দেহে।