উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাঙ্কারভিল রহস্য উপন্যাস হলেও এর উৎস বাস্তব জীবন। সম্ভবত এই ধরনের ঘটনাস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন। কারণ, কাহিনি নির্মাণের ক্ষেত্রে তিনি কোনাে নতুন কৌশল ব্যবহার করেননি। তার উপন্যাসটি ঐতিহ্যবাহী ধারারই অনুসরণ। এতে তিনি ব্যবহার করেছেন চিঠি, ডায়েরির বক্তব্য, ইন্টারপ্লেটেড ম্যানুস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি। উপন্যাসে পাঁচটি প্লট রয়েছে। ঘটনার পশ্চাদভূমি হিসেবে কাজ করেছে পূর্ব-পুরুষদের অভিশপ্ত জীবন, যা তাদের কৃতকর্মেরই ফল। কিন্তু ঔপন্যাসিক তা অত্যন্ত নিপুণভাবে বর্ণনা করেছেন। ঘটনা বর্ণনার সময় উল্লেখ করেছেন অনেক ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক তথ্য। কিন্তু তাতে ঘটনার অতিপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের অবসান হয়নি। বরং ঘটনার বাস্তবতা তাতে আরও দূরে চলে গিয়েছে এবং অতিপ্রাকৃতিক রহস্যের আবহ জটিল আকার ধারণ করেছে। স্যার চার্লসের বংশলতিকা ধরে টান দিলে একটা গা ছমছম ব্রা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাতে পাঠকদের মধ্যে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার ওপর এক রুনের বিশ্বাস জন্মে। স্যার চার্লসের মৃত্যুর কারণ পারিবারিক অভিশাপ। সেই অভিশপ্ত জীবনের দায়ভার তার ওপর চেপে বসেছে এবং তিনি দানব কুকুরের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় মারা গিয়েছেন। চার্লস বাস্কারভিলের মৃত্যুর পর পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন তার ভাতিজা হেনরি বাস্কারভিল । বাস্কারভিল পরিবারের যারাই এই সম্পত্তির ভােগ-দখল নিয়েছেন, তাদেরই কপাল পুড়েছে। চার্লস বাস্কারভিল বেঁচে থাকলে হয়তাে এই জমিদারির শেষ উত্তরাধিকারীকে এখানে না ফিরে আসতে বলতেন। বাস্কারভিলের শেষ বংশধর হেনরি একজন কুলাঙ্গার। এমন কোনাে অপরাধ নেই, যা তিনি করেননি। লেখকের বর্ণনায় ঘটনার জটিলতা ক্রমশ জটিলতর হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে তিনি জট খুলেছেন। সম্ভবত ‘দ্য হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিল’ রহস্য উপন্যাসটি জনপ্রিয় হবার মূল কারণ এটিই।