আত্মজৈবনিক

৳ 450.00

লেখক বুদ্ধদেব বসু
প্রকাশক বাতিঘর
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848825594
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২১৬
সংস্কার 2nd Edition, 2018
দেশ বাংলাদেশ

“আত্মজৈবনিক” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
আত্মজীবনীতে নিজের অনুভূতি-সংবেদনশীলতার কথা বােধকরি বুদ্ধদেব বসুর মতাে আর কেউ লেখেননি। তিন পর্বের আত্মজীবনী তাই নিছকই তার বেড়ে ওঠার বিবরণ নয়—কবিতার আত্মা আবিষ্কারের পেছনের যে সাধনা, যে রসায়ন—সেটাই মেলে ধরেছেন বুদ্ধদেব বসু। হৃদয়াবেগের সঙ্গে শানিত বুদ্ধির সমন্বয়ে এমন অসামান্য সুখপাঠ্য গদ্যে সমকালীন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসই যেন রচিত হয়েছে বুদ্ধদেবের হাতে। নিজের সৃষ্টির বিষয়ে ভীষণরকম নির্মোহ থেকে সমকালের স্পন্দন আর অন্তরটাই শােনাতে চেয়েছেন পাঠককে। এই বইয়ে দেখা মিলবে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, যামিনী রায় কিংবা জীবনানন্দ দাশের। প্রগতি, কল্লোল হয়ে কবিতা পত্রিকার মধ্য দিয়ে এক নতুন যুগের সূচনাপর্বও উন্মােচিত হয়েছে। ‘আমার ছেলেবেলা’, ‘আমার যৌবন ও ‘আমাদের কবিতাভবন’—তিন পর্বের স্মৃতিমূলক এই রচনাগুলাে এক সঙ্গে আত্মজৈবনিক নামে প্রথম প্রকাশিত হল।

Buddhadeb Bosu- তিনি নভেম্বর ৩০, ১৯০৮ কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। একজন খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও সাহিত্য-সমালোচক ছিলেন। ১৯২১ সালে ১৩ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় আসেন এবং প্রায় দশ বৎসর ঢাকায় শিক্ষালাভ করেন। বুদ্ধদেব বসু ১৯২৩ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯২৫ সালে ঐ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম বিভাগে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। ১৯২৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা কলেজ) থেকে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আই. এ. পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে থেকে ইংরেজিতে ১৯৩০-এ প্রথম শ্রেণীতে বি. এ.

অনার্স এবং ১৯৩১-এ প্রথম শ্রেণীতে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন মেধাবী এক ছাত্র। বি. এ. অনার্স পরীক্ষায় তিনি যে নম্বর লাভ করেন তা একটি রেকর্ড; এবং অদ্যাবধি (২০০৯) এ রেকর্ড অক্ষুণ্ণ আছে। তাঁর পিতা ভূদেব বসু পেশায় ঢাকা বারের উকিল ছিলেন। তাঁর মাতার নাম বিনয়কুমারী। বুদ্ধদেব বসুর মাতামহ চিন্তাহরণ সিংহ ছিলেন পুলিশ অফিসার। তাঁর পৈতৃক আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগর গ্রামে। জন্মের চব্বিশ ঘণ্টা পরেই তাঁর মাতা বিনয়কুমারীর ১৬ বছর বয়সে ধনুষ্টঙ্কার রোগে মৃত্যু ঘটে। এতে শোকাভিভূত হয়ে তাঁর পিতা সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করে গৃহত্যাগ করেন। মাতামহ চিন্তাহরণ ও মাতামহী স্বর্ণলতা সিংহ'র কাছে প্রতিপালিত হন বুদ্ধদেব। বুদ্ধদেবের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথমভাগ কেটেছে কুমিল্লা, নোয়াখালী আর ঢাকায়। অল্প বয়স থেকেই কবিতা রচনা করেছেন, ছেলে জুটিয়ে নাটকের দল তৈরি করেছেন। প্রগতি ও কল্লোল নামে দু'টি পত্রিকায় লেখার অভিজ্ঞতা সম্বল করে যে কয়েকজন তরুণ বাঙালি লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরজীবদ্দশাতেই রবীন্দ্রনাথের প্রভাবের বাইরে সরে দাঁড়াবার দুঃসাহস করেছিলেন তিনি তাঁদের অন্যতম। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধাদি রচনা করে তিনি ইংল্যান্ড ও আমেরিকায়ও প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। তিনি মার্চ ১৮, ১৯৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ