কাজল চোখের মেয়ে

৳ 240.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849366058
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৯৬
সংস্কার 7th Published, 2022
দেশ বাংলাদেশ

কবিতা কী গল্প নয়? আমার কাছে সকলই গল্প । কিন্তু গল্প বলার ধরণগুলো কেবল আলাদা। আলাদা বলেই আমি ছ’পৃষ্ঠার একটা গল্পে যা বলি, কখনো কখনো তা হয়তো এমন দুই লাইনেই বলে ফেলতে পেরেছি বলে মনে হয়‘কোথায় যাবে তোমার মানুষ রেখে? মানুষ কেন হারিয়ে গেলে, মানুষ পাওয়া শেখে? কিংবা
“শোনো, কাজল চোখের মেয়ে, আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে তোমার চোখে চেয়ে কিংবা, ততটুকু দিও, যার পরে আর কিছু চাইবার, বাকী না থাকে! ততটুকু নিও, যার পরে আর, পিছু চাইবার, ফাকি না থাকে! যেতে হলে, এখুনি যাও, পরে গেলে মায়া বেড়ে যাবে, থেকে গেলে, এখুনি থাকো, বেলাশেষে ছায়া বেড়ে যাবে। আমি যা লুকিয়ে রাখি, গভীর, গোপন, তার সবটুকুই তোমার আপন। মেঘের মতো ভার হয়ে রয় বুক, মেঘের মতো থমথমে কী ব্যথা! মেঘ তো তবু বৃষ্টি হয়ে ঝরে, আমার কেবল জমছে আকুলতা। ততটুকু হোক দেনা, যতটুকু হলে, ফিরে আসবার পথটুকু থাকে চেনা। কাজল চোখের মেয়ে বুকের ভেতর পাখির ভেজা পালকের স্পর্শে তিতির বয়ে যাওয়া অজস্র অনুভূতির নদী ছুঁয়ে দেয়ার গল্প, চাইলে তাকে আপনি কবিতা বলতে পারেন, নাও পারেন। কিন্তু স্পর্শ বলবেন, স্পর্শিত হবেন, তা নিশ্চিত।

স্নাতকোত্তর, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সাদাত হোসাইন নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তাঁর কাছে চারপাশের জীবন ও জগত, মন ও মানুষ সকলই গল্প। তিনি মনে করেন, সিনেমা থেকে পেইন্টিং, আলোকচিত্র থেকে ভাস্কর্য, গান থেকে কবিতা- উপন্যাস-নাটক, সৃজনশীল এই প্রতিটি মাধ্যমই মূলত গল্প বলে। গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন- আরশিনগর, অন্দরমহল, মানবজনম, নিঃসঙ্গ নক্ষত্র, নির্বাসন, ছদ্মবেশ, মেঘেদের দিন ও অর্ধবৃত্তের মতো তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস। ‘কাজল চোখের মেয়ে’, তোমাকে দেখার অসুখ'সহ দারুণ সব পাঠকপ্রিয় কবিতার বই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বোধ, দ্য শুজ, প্রযত্নের পাশাপাশি' নির্মাণ করেছেন 'গহীনের গান' এর মতো ব্যতিক্রমধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপি-আরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, পশ্চমিবঙ্গের চোখ সাহত্যি পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা ও এক্সিম ব্যাংক- অন্যদিন হুমায়ূন আহমদে সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯। তাঁর জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার, কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ