কবিতা কী গল্প নয়? আমার কাছে সকলই গল্প । কিন্তু গল্প বলার ধরণগুলো কেবল আলাদা। আলাদা বলেই আমি ছ’পৃষ্ঠার একটা গল্পে যা বলি, কখনো কখনো তা হয়তো এমন দুই লাইনেই বলে ফেলতে পেরেছি বলে মনে হয়‘কোথায় যাবে তোমার মানুষ রেখে? মানুষ কেন হারিয়ে গেলে, মানুষ পাওয়া শেখে? কিংবা
“শোনো, কাজল চোখের মেয়ে, আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে তোমার চোখে চেয়ে কিংবা, ততটুকু দিও, যার পরে আর কিছু চাইবার, বাকী না থাকে! ততটুকু নিও, যার পরে আর, পিছু চাইবার, ফাকি না থাকে! যেতে হলে, এখুনি যাও, পরে গেলে মায়া বেড়ে যাবে, থেকে গেলে, এখুনি থাকো, বেলাশেষে ছায়া বেড়ে যাবে। আমি যা লুকিয়ে রাখি, গভীর, গোপন, তার সবটুকুই তোমার আপন। মেঘের মতো ভার হয়ে রয় বুক, মেঘের মতো থমথমে কী ব্যথা! মেঘ তো তবু বৃষ্টি হয়ে ঝরে, আমার কেবল জমছে আকুলতা। ততটুকু হোক দেনা, যতটুকু হলে, ফিরে আসবার পথটুকু থাকে চেনা। কাজল চোখের মেয়ে বুকের ভেতর পাখির ভেজা পালকের স্পর্শে তিতির বয়ে যাওয়া অজস্র অনুভূতির নদী ছুঁয়ে দেয়ার গল্প, চাইলে তাকে আপনি কবিতা বলতে পারেন, নাও পারেন। কিন্তু স্পর্শ বলবেন, স্পর্শিত হবেন, তা নিশ্চিত।