“ভ্রান্তিবিলাস” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ
কিছু মানুষ তাদের ভ্রান্ত চিন্তা-চেতনাগুলাে। সাহিত্যের মােড়কে বাজারজাত করে । ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় সমাজের একটা শ্রেণি ওদের লেখনীর দ্বারা প্রভাবিত হয়, ধীরে ধীরে পা বাড়ায় ভ্রান্তির জগতে।। ভ্রান্তির জগৎ কালাে অন্ধকারে ঢাকা। মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তােলার মতাে আলাে সেখানে নেই। ওই জগন্টা। মানুষকে অমানুষ করে দেয়। নামিয়ে দেয়। পশুদের চেয়েও নিকৃষ্ট স্তরে। আর যাতে। কেউ ওদিকে পা না বাড়ায়, সে প্রত্যাশায়। রচিত আমাদের এই বই।
বইটির প্রথম অংশের কিছু কথাঃ
স্রষ্টা কেন এত ধর্ম পাঠিয়েছেন?
সব ধর্মের অনুসারীরাই দাবি করছে যে, তাদের ধর্মই স্রষ্টা পাঠিয়েছেন। যদি স্রষ্টা। একজনই হন, তবে তিনি কেন একাধিক ধর্ম পাঠিয়েছেন? আর যদি স্রষ্টা একটি মাত্র ধর্ম পাঠিয়ে থাকেন, তবে স্রষ্টার মনােনীত সেই ধর্ম কোনটি?
হুমায়ুন আজাদ তার লেখনীর মাধ্যমে কম জ্ঞানসম্পন্ন মানুষদের বিভ্রান্ত করার কিছুটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন—যদি স্রষ্টা একজনই হন, তবে তিনি কেন একাধিক ধর্ম পাঠিয়েছেন? কেন একটি ধর্ম পাঠালেন না?
“বহু ধর্ম রয়েছে পৃথিবীতে। একটি সরল প্রশ্ন জাগতে পারে যে বিধাতা যদি থাকেন তিনি যদি একলাই স্রষ্টা হন, তবে তিনি কেনাে এতাে ধর্ম পাঠালেন। তিনি একটি ধর্ম পাঠালেই পারতেন, এবং আমরা পরম বিশ্বাসে সেটি পালন করতাম। তিনি তা করেন নি কেনাে? ১)
তার এই অভিযােগের জবাবে আমাদের সরল কথা এটাই, স্রষ্টা পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবধি একটি মাত্র ধর্মই মানবজাতির জন্যে নির্বাচিত করেছেন। আর তা হলাে— ‘ইসলাম। স্রষ্টার মনােনীত দ্বীনের মৌলিক বিষয়বস্তু যুগে যুগে একই ছিল। যুগে। যুগে আল্লাহ যত নবি-রাসূলদের পাঠিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মানুষকে তাওহিদের দাওয়াত দিয়েছেন। তাঁরা মানুষকে আল্লাহর পরিচয় বুঝিয়েছেন, ভালাে-মন্দ, সত্যমিথ্যার পার্থক্য শিখিয়েছেন, জান্নাত-জাহান্নামের কথা তুলে ধরেছেন। তবে বিভিন্ন যুগে নবি-রাসূলদের শারীআতের হুকুম-আহকাম তথা ইবাদাত ও মুআমালাতের (জাগতিক লেনদেন ও অন্যান্য কাজ) পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য ছিল। উদাহরণস্বরূপ,
১. হুমায়ুন আজাদ, আমার অবিশ্বাস, অধ্যায়