সবকিছু আকড়ে ধরে থাকতে নেই। ভুল ভাঙানোর প্রয়োজনও ফুরিয়ে যায় একসময়।
*একটা বয়সের পর পুরুষদের আর নিজের বলে কিছু থাকেনা। তার ঘরটা আমূল বদলে যায় প্রিয়তমার ইচ্ছেতে। বিছানার চাদর, বালিশ, আলমিরা, চেয়ারে রং আর ধরণ বদলায়। এমনকি বদলে বুক শেলফ্ এর জায়গায় চলে আসে ড্রেসিং টেবিল!
একটা বয়সের পর পুরুষরা অন্যদের জন্য ছোটে। সামাজিক চাপে পড়ে নিজের স্বপ্নটার কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে চাকরিটা করে যায়। তাকে বোঝার কেউ থাকেনা। পরিবার তার সময় চায়। মা,বাবা পরিবারের সবাই যেনো অবুঝ হয়ে ওঠে কিছুটা। বড় হবার দোষে চাপিয়ে দেয় সকল দায়িত্ব!
এই পরিশ্রম, জীবনের জন্য ছুটে চলা সবকিছুকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নিয়ে আরো কিছুটা চাওয়া পাওয়া বাড়িয়ে দেয় চারপাশের সবাই।
কেমন অন্ধ হয়ে, স্বার্থপরের মতোন তাদের এই চাওয়া পাওয়ার হারালে আড়ালে হারিয়ে যায় পুরুষদের বেদনার বেনোজলে ভেসে আসা কথাগুলো। কেউ বোঝেনা, বুঝতে চায়না।
একটা বয়সের পর কোনো পুরুষ আর নিজেদের জন্য কাঁদেনা। তাদের কান্নাও অন্যদের জন্য। পুরুষ হলে কাঁদতে নেই। কাঁদার জায়গাও নেই। এভাবেই পুরুষ প্রেমিক, স্বামী, বাবা, দাদা হবার পর একদিন খুব ক্লান্ত হয়ে বুড়িয়ে যাওয়া শরীরটা নিয়ে মরে যায়। দুর্বল ঘাস হয়, বিষন্ন পাখি হয়। আচ্ছা একটা বয়সের পর মেয়েদের ক্ষেত্রে কেমন হয়? তাদের কষ্টগুলো কী এমনই নাকি অন্যরকম?