জন্মের পর বাবা মারা যাওয়ায় মায়ের আদর যত্নে এবং শত কষ্টে বড় হয় আবির। সমাজের শৃঙ্খলার শিকলে কিছুতেই নিজেকে আবদ্ধ করে রাখতে রাজি নয় সে। আর তাই দূরন্তপনা আর দুষ্টমিতে সহপাঠিদের সাথে নিয়ে পুরো গ্রাম পেরিয়ে নানান ঘটনা ঘটানোতে যেন আবিরের সুখ। যে সুখের জন্য তার মা’কে শত দুঃখ পোহাতে হয়, মানুষের নানান ধরনের নালিশ আর কটূ কথায়।
হঠাৎ আবিরের জীবনে আবির্ভাব ঘটে জলকুমারীর, নদীর জলের ভিতর থাকা মায়াপুরীতে যার বসবাস। জলকুমারীর রূপ লাবণ্য আর সুরের মোহনায় মুগ্ধ হয়ে যায় আবির। কিন্তু দু’জনের মধ্যে সৃষ্টি হয় একে অপরকে কাছে পাওয়া বাধা। জলকুমারী জলের স্পন্দন ছাড়া দূরে কোথাও যেতে পারে না। চাইলেও যখন তখন জল এবং মায়ারপুরী ছেড়ে পৃথিবীতে আসতে পারে না। কেননা তার সবচেয়ে বড় শত্রু সূর্যের তাপ। অন্যদিকে আবিরের পক্ষেও সম্ভব নয় মায়াপুরীতে যাওয়ার। দুজনের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয় জলকুমারীর মায়াপুরীতে থাকার রহস্য ও তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার উপায়। কিন্তু খুঁজে পায় না কোনো সমাধান। নদীর পাড়ে চল্লিশ বছর ধরর ধ্যান করা এক সন্ন্যাসী এসে জানায় জলকুমারীর মায়াপুরীতে থাকার রহস্য ও স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আসার উপায়। যার সমাধান রয়েছে মায়াপুরীতে থাকা মায়াপ্রাসাদের সপ্তম মায়াকক্ষে, সাতটি দরজা পেরিয়ে যে মায়াকক্ষে প্রবেশ করতে হবে। যার প্রতিটি দরজা এবং কক্ষে রয়েছে ভয়ঙ্কর মৃত্যু ঝুঁকি। আর পুরো মায়াপুরী ও মায়াপ্রাসাদে যাওয়া আসার জন্য আবির সময় প্রায় একটি সূর্যোদয় হওয়া থেকে আরেকটি সূর্যোদয় পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে মায়াপুরী থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে আরেকটি সূর্যোদয় হওয়ার সাথে সাথে মায়াপুরীতে মৃত্যু ঘটবে আবিরের।