“দাদীমা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
‘মা’ শব্দটি যেমন চিরমধুর, ‘দাদীমা’ শব্দটি তেমনই চিরসবুজ। গুটিগুটি পায়ে চলতে শেখা শিশুটি থেকে শুরু করে, থুড়থুড়ে বুড়ােটির জীবনেও দাদীমা শব্দটি সমান জনপ্রিয়। দাদীমা উপন্যাসের অন্যতম একটি চরিত্র রােশা। ছােটবেলা থেকেই দাদীমার চোখের ইশারায় শক্ত পাহারায় বড় হয়েছে সে। দাদীমা উপন্যাসের প্রতিটি পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে দাদী নাতনীর চমৎকার সম্পর্কের বর্ণনা।
দাদীমার বড় ছেলে রমিজউদ্দিন। তিনি একজন ভালাে মনের রাগী মানুষ। ছােটছেলে অনন্ত আহমেদ। সূদর্শন শিক্ষিত এক যুবক। চলতে পথে মায়াবতী তরূণী মায়ার প্রেমে পড়ে সে। কিন্তু হঠাৎ করে মায়ার জীবনে ঘটে যায় মারাত্বক দুর্ঘটনা। হাসপাতালের চার দেয়ালে আটকে পড়ে তার জীবন। সেখানেই মায়ার সাথে পরিচয় হয় ডাক্তার মুহিবের। অনন্ত-মায়া-ডাক্তার মুহিব, শুরু হয়। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প।
শেষ পর্যন্ত মায়াবতী মায়া কাকে বাঁধবে মায়ার বাঁধনে? হঠাৎ করেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন দাদীমা। প্রায়ই ডাক্তার মুহিব এসে দাদীমার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়। আসতে যেতে, চোখের দেখায়, একটুখানি কথার ছলে ডাক্তারের প্রেমে পড়ে যায় রােশা। অথচ নব প্রেমের মধুর ঝংকার রােশার মন রাঙ্গাতে পারেনি। দাদীমার অসহায় অশ্রুসজল চোখ, কথা বলতে না পারার তীব্র যন্ত্রণা-রােশার ভেতরটা চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। বােকা মেয়েটি সারাক্ষণ অপেক্ষায় থাকে, কখন দাদীমা সুস্থ হয়ে যাবে।