ফ্ল্যাপে লিখা কথা
ইবু বলল, মেসেজটা তোমার জন্য না, ভুলে পাঠিয়েছি তোমাকে।
এষার মনে হলো নিজেকে সাধারণ এক রাখালকন্যা। রাজপ্রাসাদ থেকে রাজপুত্র তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছিল। ভালোবাসায় পাগল এষা ছুটে যাচ্ছিল। কিন্তু রাজপ্রাসাদের ঠিক সামনে এসে বন্ধ দরজায় হুমড়ি খেয়ে পড়ল। আর দেখল রাজপুত্র তাকে ডাকেনি। ডেকেছে ঠিক তার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক রাজকন্যাকে। প্রায় দু-মিনিট ফোনের লাইন নিঃশব্দ হয়ে রইল। ইবু চুপ। এষঅও চুপ। নীরবতা ভাঙল এষা। ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে গেলেও অস্বাভাবিক শান্ত কণ্ঠে বলল, তাই? আগে বলবেন তো। ঠিক আগে, রাখি।
ইবুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দিল এষা। ইবুর মোবাইলে মেসেজ এল কিছুক্ষণ পরে। অনেক বড় মেসেজ লিখছে এষা : ছোটবেলায় চকলেট পছন্দ করতাম। বাবা এনে দিত। হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। আমি আর চকলেট খাইনি। আজ আমার প্রিয় চকলেট হিরো আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আর কখনোই চকলেট হিরো খুঁজব না আমি।
এই উপন্যাসে উঠে এসেছে এষার মতো জেদি কিশোরীর স্বপ্ন ভঙ্গের কাহিনী। ইবু নামের ভালোবাসার মুখটি হারানোর করুণ কথা। বন্ধুর জন্য আকুল করা ছোটনের এক কষ্ট গাথা।
কন্যাস্নেহে ডুবে থাকা বাবার অপরাধবোধের গোপন জগত উন্মোচনের চিত্রও দেখতে পাবেন পাঠক। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১।
এ কাহিনী সবার জন্য সব বয়সের জন্য।