“প্রিলিউড টু ফাউণ্ডেশন” বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
গ্যালাকটিক ইরার ১২,০২০ সাল। ভাঙন শুরু হয়েছে প্রথম গ্যালাকটিক এম্পায়ারে। এইরকমই এক বিশৃঙখল সময়ে গ্যালাক্সির হাল ধরেছেন সম্রাট প্রথম ক্লীয়ন । কিন্তু চারদিক সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন তিনি। ট্র্যানটরের অগণিত গম্বুজের নিচে চল্লিশ বিলিয়ন মানব সন্তান। অবিশ্বাস্যরকম জটিল এবং উন্নত এক সভ্যতা গড়ে তুলেছে। ক্লীয়ন জানেন এদের ভেতরে এমন অনেকেই আছে যারা তার পতনের জন্য সবকিছুই করতে পারে এবং এই শত্রুদের তিনি সমূলে ধ্বংস করে দিতে পারবেন শুধু যদি তিনি ভবিষ্যত জানতে পারেন।
ঠিক সেই সময়েই হ্যারি সেলডন ট্র্যানটরে এলেন সাইকোহিস্টোরির গবেষণাপত্র উপস্থাপন করতে তার যুগান্তকারী থিওরী অফ প্রেডিকশন। আউটওয়ার্ল্ডের এই গণিতবিদ বুঝতেই পারেননি যে ট্র্যানটরে পা রাখার সাথে সাথেই তিনি তার নিজের এবং সেই সাথে মানবজাতির ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন। নিজের বিস্ময়কর ক্ষমতার কারণেই পরিণত হলেন গ্যালাক্সির মােস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিতে… যার হাতে রয়েছে ভবিষ্যতের সােনার চাবি- তার সেই প্রলয়ংকরী ক্ষমতাই ভবিষ্যতে পরিচিত হয়ে উঠে ফাউণ্ডেশন হিসেবে।।