“লারা” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
প্রবহমান সময় কারাে কারাে জীবনে কখনও কখনও থমকে যায়। এই যাওয়াটা কোনাে সত্য নয়, অনুভবের সত্য মাত্র। যদিও এ উপন্যাসের মানুষেরা সজীব, তবু মনে হয় এক অবিশ্বাস্য স্তব্ধ সময় নেমে এসেছে এইসব মানুষের জীবনে। এ উপন্যাসে সেই জীবনের কথা আছে, যে জীবন যাপিত হচ্ছে আপন নিয়মে। এখানে নানা অনুভূতির কথা আছে, যে অনুভব মানুষকে দীপ্র করে। এখানে যুক্তির কথা আছে, যে যুক্তি মানুষকে দর্শনের গভীরতায় ডুবিয়ে দেয়, এখানে মানুষের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের কথা আছে, যা মানুষকে উজ্জ্বল করে। তােলে, এখানে রহস্যের কথা আছে, যে রহস্য কোনােদিন মানুষের কাছে উন্মােচিত হয় না— জীবনের এই টানাপােড়েনের কোনাে শেষ নেই। এমনই টানাপােড়েনের অজস্র অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে হেঁটে যায় কেউ কেউ। লেখক তাদের চিত্রিত করেন নিজেকেই ভেঙেচুরে নিয়ে। শিল্পের এই নির্মাণ জীবনের বিপরীতে ভিন্ন জীবন। এই উপন্যাস সেই জীবনের কথা বলে। এ উপন্যাস তৈরি হয়েছে প্রথাভাঙা আঙ্গিকে। স্তব্ধ সময়কে নায়ক করে এগিয়েছে এবং এগুতে এগুতে সেই সময়ের গণ্ডি উৎরে পৌছেছে একস্থানে, যেখানে লেখক এবং পাঠক মুখােমুখি দাঁড়ায়।