ফ্র্যাপে লেখা কিছু কথা
এক মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রায় সকলেই তিরিশের পরে পাগল হয়ে যায়। ফলে ওই বংশের উত্তরাধিকার রূপমের ক্ষেত্রেও দাঁড়ায় আশঙ্কা। তা থেকে মুক্তি পাবার লক্ষে বাবা-মা শৈশব-কৈশোরে প্রচুর পুষ্টিকর খাবার দিয়ে ছেলেকে লালন-পালন করে। পরিণতিতে পুত্র হয়ে ওঠে সুঠামদেহী এক যুবা। সেই তুলনায় তার মেধা বিকশিত হয় কমই। একসময় সে পা রাখে তিরিশের কোঠায়। এ সময় পরিবারের পাগল হওয়ার ইতিহাস ভেবে শঙ্কাগ্রস্ত রূপম ক্রমশ জড়িয়ে পড়ে কতগুলি ঘটনায়। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পরিচয়, অনিন্দ্য প্রতিবেশি অন্ধ তরুণী শিখার সঙ্গে প্রণয় তার জীবনের আরেক অধ্যায়। এই প্রেমই শেষাবধি তার জীবনের অন্যতম পরিণতি এনে দেয়। মাঝে কিছু বাঁক-উকবাঁকময় সময় আর ঘটনাও সন্নিবেশিত হয়। ওইসব ঘটনার আবর্তে এগিয়ে চলে কাহিনী। নিয়মিত গ্রাস থেকে মিলবে কি রূপমের মুক্তি! ভোরের কাগজের ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত এই উপন্যাসে বিধৃত হয়েছে সেইসব প্রশ্নের উত্তর।