“চম্বল কী রাণী” বইটি সম্পর্কে ভেতরের কিছু অংশ:
সুলতান অপহরণ করে নিয়ে যায় আসগারী বাঈ-এর নর্তকী কন্যা পুতলীকে। পুতলীকে সে বিয়ে করে। সুলতানের ঔরসে জন্ম হয় এক কন্যা সন্তান । সুলতানকে সঙ্গে নিয়ে পুতলী তার কন্যাকে মায়ের কাছে রেখে যেতে আসে। কিন্তু সুলতান ডাকু তার এক সহচরের হাতে মারা পড়ে। পুতলী পরে কাল্লা ডাকাতকে বিয়ে করে সমগ্র এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। পুতলীর নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়তাে। ১৯৫৮ সালে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পুতলী নদীতে ডুবে মারা যায়। পরে পুতলীর মেয়ে তান্ন নানী আসগরীর কাছে নৃত্যগীত শিখে নর্তকী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, কিন্তু মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মহিলা ডাকাতে পরিণত হয়নি। চম্বলের গভীর অরণ্যের ডাকাত পুতলীর সত্য জীবনকাহিনী। অবলম্বনে রচনা করেন কৃষণ চন্দর তার বিখ্যাত উপন্যাস “চম্বল কী রাণী”। কৃষণ চন্দরের এই উপন্যাসের গল্পের ভিত্তিতে ভারতে নির্মিত হয় “চম্বল কী রাণী” ছায়াছবি । ছায়াছবি হিসেবেও ভারতে “চম্বল কী রাণী” দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল ।