“ছায়ালীন” বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া:
ভূতের গল্পের সঙ্গে ভূত বিশ্বসের হয়তাে সত্যিই কোনাে সম্পর্ক নেই। যেমন নেই রূপকথার সঙ্গে বিজ্ঞান বিশ্বাসের বিরােধ। রূপকথার মতাে ভূতের গল্পও তাই চিরকালই মানুষের কল্পনাশক্তিকে উজ্জীবিত করেছে। সমগ্র বিশ্বসাহিত্যেই ভৌতিক গল্প একটা বড় জায়গা জুড়ে আছে। বাংলা সাহিত্যেও ভৌতিক গল্পের রয়েছে একটা সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। এই বইয়ের গল্পগুলাে অবশ্য সেই অর্থে। ভূতের গল্পও নয়। এগুলােকে বরং বলা যায় অদ্ভুতের গল্প । ভূত থাক বা না-ই থাক, ভুতুড়ে বা অদ্ভুত ব্যাপারস্যাপার তাে পৃথিবীতে ঘটে, আজও ঘটে। সেরকম ছয়টি শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনী নিয়েই মুহম্মদ জাফর ইকবালের ভৌতিক গল্পের সঙ্কলন ছায়ালীন। সাধারণ ভূতের সঙ্গে এ-গল্পগুলাের একটা মৌলিক পার্থক্য হল, ভূত বা পেত্নিরা এখানে কাহিনীর নায়ক বা নায়িকা নয়। ভৌতিক পরিবেশের আলােছায়া পেরিয়ে সব কটি গল্পই শেষাবধি মানুষের, অসহায় মানুষের গল্প হয়ে উঠেছে। আমাদের সময়ের একজন শক্তিমান ও যথার্থ অর্থেই পাঠকপ্রিয় কথাশিল্পী মুহম্মদ জাফর ইকবালের সুনিপুণ লেখনিতে ভৌতিক গল্পগুলােও যেন এখানে নতুন মাত্রা পেয়েছে। হয়ে উঠেছে নতুন কালের ভৌতিক গল্পের দৃষ্টান্ত।