ফ্ল্যাপে লিখা কথা
১৯৩০ সালে প্রকাশিত আহৃতি প্রবন্ধ গ্রন্থে মূলত ইতিহাস-ঐতিহ্যিক প্রেক্ষাপটে সমকালীন কথাসাহিত্যের রূপ-স্বরূপ নির্ধারণের প্রচেষ্টা আছে। সাহিত্য যে সময়-সমাজের বিশেষ সৃষ্টি এই নিয়ে নরেশচন্দ্র ছিলেন নিঃসংশয়। শিল্পীর স্বাধীনতা নীতিবাদের উপরে রাখার যে জরুরি সে বিষয়ে নরেশচন্দ্র জোরালো ও বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। সময়ের পরিবর্তনকে অস্বীকার করা যে মূর্খতা এবং ভারতীয় ঐতিহ্য যে তা স্বীকার করে না তাও লিপিবদ্ধ করেছেন। নিজ সময় ও সাহিত্যের বাস্তবতা বিচারেই যেন নরেশচন্দ্র ‘সাহিত্যে স্বাধীনতা’ প্রবন্ধে লিখেছেন : ‘শাসনের রক্ত চক্ষুতে সাহিত্য কোনও দিন ভয় পায় নাই, পাইবেও না, নিগড়ের ঝঞ্বনা সে চিরকাল হাসিয়া উড়াইয়াছে। এ যে বিধাতার প্রসাদপুষ্ট গরুড় পক্ষী, স্বর্গ হইতে রসাতল পর্যন্ত ইহার স্বচ্ছন্দ বিচরণ, ইহাকে বাঁধিবে কে? সত্যের স্নিগ্ধ তীব্র জ্যোতি যার চক্ষে নিয়ত জ্বলিতেছে, আঁধার তাহাকে অন্ধ করিতে পারে না।’