উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু : হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন। আর্থার হেইলি রচিত উপন্যাস ‘সার্জন’-এর ছায়া অনুসরণে মূল বিষয়বস্তু পরিকল্পিত হয়েছে। গল্পটি সম্পূর্ণ কল্পনাশ্রিত। জীবিত কিংবা মৃত কোনাে ব্যক্তি, স্থান, কাল ও সময়ের সাথে এই গল্পের কোনােরকম যােগসূত্র নেই। গল্পে বর্ণিত হাসপাতালের নাম, ডাক্তারদের নামের সাথেও বাস্তবের কোনাে সংস্পণা নেই। বিখ্যাত কয়েকজন কার্ডিয়াক সার্জনের প্রকৃত নাম, যথা১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রফেসর ক্রিশ্চিয়ান বার্নাড দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে পৃথিবীর প্রথম হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেন। এবং ট্রান্সপ্ল্যান্টের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার রেকর্ড স্থাপিত হয় ১৯৭৮ সালে ভাইরাল নিউমােনিয়ায় আক্রান্ত ২০ বছর বয়সী টনি হিউসম্যানের দেহে আমেরিকার স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ডা. নরম্যান শ্যামওয়ে যখন একটি হৃৎপিণ্ড সংস্থাপন করেন, তার এই রােগী দীর্ঘ আটাশ বছর নতুন হার্ট নিয়ে বাঁচতে সক্ষম হয়েছিল। উল্লেখিত এই তথ্যগুলাে গল্পে আছে, কিন্তু গল্পটির সাথে তাদের কোনাে প্রত্যক্ষ কিংবা পরােক্ষ যােগাযােগ নেই।