“সহজ উপায়ে মাশরুম চাষ”বইটির প্রথমের কিছু অংশ:
মাশরুমকে ব্যাঙের ছাতা’ বলে ব্যঙ্গ করার দিন শেষ। এখন মাশরুম একটি উন্নতমানের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নতুন সবজি। আমাদের সুরক্ষায় মাশরুম চাষের উন্নয়ন দরকার। এর অধিকাংশ প্রজাতি উপকারী ছত্রাক, ইষ্ট ও পেনিসিলিয়ামের মত নানাবিধ দুরারােগ্য রােগের ওষুধ তৈরির উপকরণ। আজ অনেক ধরনের শিল্পের উপকরণও মাশরুম। বর্তমানে ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরা বলেছেন ক্যানসার রােগের বিরুদ্ধে সুরক্ষায় মাশরুমের বিশেষ ভূমিকা আছে। তাই এই রােগের বিরুদ্ধে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাশরুম। ‘এগারিক বা সর্বরােগহরা তৈরি করা যায় এই মাশরুম থেকে। তাই সব মিলিয়ে মাশরুম আজ গ্রামীণ প্রান্তিক অর্থনীতিতে এক নতুন সম্ভাবনার সূর্যোদয়।
যে মাশরুমের জনপ্রিয়তার শুরু হয়েছিল গ্রীক ও রােমান সভ্যতার আমল থেকে নিয়মিত মাশরুম চর্চার কাজ আরম্ভ হয় ফ্রান্সের চতুর্দশ লুইয়ের রাজত্বকালে। (১৬৩৮=১৭১৫) সেই মাশরুম সকলের কাছে। আজও বিশেষ পরিচিত। এটা শুধু স্বাদে গন্ধে লােভনীয় একটা সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবারই নয়। এর খাদ্যগুণে মাছ, মাংসের সাথে পাল্লা দিতে পারে। মাশরুমের বাজার আজ সারা পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত। সারা বাংলাদেশে মাশরুমের দেশি-বিদেশি বাজার ক্রমশ বাড়ছে। বিজ্ঞানসম্মত প্রযুক্তি আয়ত্ব করে বেকার যুবক-যুবতীরা উদ্যোগী হয়ে এই চাষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজেরাই তৈরি করে নিতে পারেন।