ফ্ল্যাপ
১৯৮৪ সালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা নারী-পুরুষের সামাজিক জীবনযাত্রায় তাদের ভাগ্য ও জীবনের গতিবিধি অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হয়েছেন এই উপন্যাসের লেখক। যুদ্ধ-পরবর্তীকালের ঘটনাবলীর প্রবল ঘূর্ণাবর্তে উপন্যাসের নায়ক, মনোয়ারা, আসমা, বশর, তাজুল, লারা, রাজী পলাশ, নদী এবং আরো অনেকের জীবন আবর্তিত।
লেখক দেখেছেন রাজনীতি, স্বৈরাচার শাসনের প্রবল নিষ্পেষণ; দেখিয়েছেন অফিস-জীবনে নায়কের মনের গভীরের সঙ্গে বাইরের সংঘর্ষ, পদোন্নতির প্রতিযোগিতা এবং চরিত্রাবলীর অনমনীয়তা ও অসহায় বিপন্নতা; লারা ও তাজুলের মৃত্যু মর্মস্পর্শী ঘটনা।
উত্তম পুরুষের বর্ণিত এই উপন্যাস মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচার আমলের অসামান্য এক দলিল, একজন নিম্ম মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবির দ্রোহ ও নির্মম স্বিকারোক্তি। লোভ, লালসা অত্যাচার ও প্রলোভন থেকে মুক্তিযোদ্ধার বাঁচার সংগ্রাম, যুদ্ধাহাতের অভিমান, ভালোবাসা, মানব-চরিত্রের নিগূঢ় পরিবর্তন, দ্রবণ ও লোভের মানবিক সংঘর্ষ প্রতিফলিত। মানুষের জীভনের মহত্তর দিকগুলো উপন্যাসে দীপ্র হয়ে উঠেছে নির্মল ও বিশুদ্ধ আবেগে, সৌন্দর্যচেতনায় ও মানবতাবাদে।