ফ্ল্যাপে লিখা কথা
জীবন,স্বপ্ন,দুঃখ,কষ্ট, আনন্দ- একসাথে চলে হাত ধরাধরি করে। একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক গভীর, গভীরতর। গল্পকার আহসান ওয়াহিদ জীবনের বাস্তবতায় সাঁতার কেটে যে তিতিক্ষা, যে মুমূর্ষু অভিজ্ঞতা, সুন্দরের যে নিপীড়ন সর্বনাশ প্রত্যেক্ষ করেছেন, তাই ‘বাস্তব এবং স্বপ্নের মুখোমুখি’ গল্প বইয়ের গল্পগুলোতে মগ্ন শিকারির ধ্যানে তুলে ধরেছেন।
তাঁর গল্প,গল্পের চালচিত্রে জটিলতার স্বাদ খেলা করে না বটে, তবে জীবনের সর্বনাশ এবং সুন্দর উঠে আসে মানবিক পতাকায়, গভীর তপস্যায়। ‘বাস্তব এবং স্বপ্নের মুখোমুখি’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘একটি জানাজা’, ‘ভালোবাসার অন্যরূপ’ গল্পটির কয়টি পাঠকের মনে রেখাপাত করবে, চলমান সময়ের কঠিন গিলোটিনে দাঁড় করিয়ে দেবে। পাঠক অবাক হয়ে ভাববেন-আরে এই গল্প বা ঘটনা তো আমার অথবা আমাদের কিংবা প্রতিবেশী কারোর জীবনের ঘটে গেছে! গল্পকার আহসান ওয়াহিদের সাফল্য এবং গল্পগুলোর সার্থকাতা এখানেই। আহসান ওয়াহিদ সরল ও সহজ বাক্যে, নিবিড়তম শব্দ চয়নে গল্পের জমিনে চৈতন্যের চাষাবাদ করেন। তাঁর গল্পে নাগরিক জীবন যেমন, তেমনি গ্রামীণ জীবনও স্বচ্ছতায় মমতায় উঠে আসে গভীরতম উপলব্ধির নৃ্ত্যে। জীবনকে জটিল জলাবদ্ধতায় সীমাবদ্ধ না রেখে-আহসান ওয়াহিদ জীবনকে প্রবহমান স্রোতের সঙ্গে ভাসিয়ে দেন-কিছু ছেড়ে দেন না, সম্পর্কের সুতোয় গল্পগুলোম গল্পের চরিত্রগুলো অসম্ভব আন্তরিকতায় বেঁধে রাখেন চিরায়ত আটপৌরে আয়োজনে।
গল্পগুলো পাঠকের অবশ্যই ভালো লাগবে- আমার বিশ্বাস।
সূচীপত্র
* বাস্তব এবং স্বপ্নের মুখোমুখি
* দেশের মানুষ
* কালীবাড়ির মেলা
* ভালোবাসার অন্যরূপ
* লুসি
* পরবাসী
* ভিক্ষুক এবং একটি দশ টাকার নোট
* চাঁদাবাজ
* শেষ গোসল
* বংশের বাতি
* হাত
* সাময়িক সবকিছু
* একটি জানালা
* দেবদূত
* মানবী