“সাইমুম সিরিজ – ৩৮ : ধ্বংস টাওয়ার”বইটির প্রথমের কিছু অংশ:
রাব্বানিক্যাল ইউনিভার্সিটি নিউইয়র্ক-এর অভ্যর্থনা কক্ষ। ক্লান্ত দেহটা সােফায় এলিয়ে বসে আছে আহমদ মুসা। ড. হাইম হাইকেল এই ইউনিভার্সিটির ‘ফেইথ স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রাব্বি। ড. হাইম হাইকেলের সাথে দেখা করতে চায় আহমদ মুসা।এই খবর. সে পাঠিয়েছে মিনিট পাঁচেক আগে। ড. হাইম হাইকেল আসবেন, অথবা ভেতরে তার ডাক আসবে, এরই অপেক্ষা করছে আহমদ মুসা।
শান্ত, নিস্পৃহভাবে বসে থাকলেও বুকটা আহমদ মুসার আশানিরাশার দ্বন্দ্বে অনেকটাই অস্থির।
আহমদ মুসার এই নতুন আমেরিকান মিশনে রাব্বি ড. হাইম হাইকেলই তার প্রাইম টার্গেট, প্রধান অবলম্বন । নিউইয়র্কের লিবার্টি টাওয়ার ও ডেমােক্রাসি টাওয়ার ধ্বংসের রহস্য উদ্বাটনে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে কামাল সুলাইমানদের স্পুটনিক যে সত্যের সন্ধান পায় হতার প্রধান সাক্ষী এই ধর্মনেতা ইহুদী জগতের বিশিষ্ট রাব্বি ড. হাইম হাইকেল।
আজ থেকে বিশ বছর আগে নিউইয়র্কের টুইনটাওয়ার, লিবার্টি টাওয়ার ও ডেমােক্রাসি টাওয়ার, ধ্বংস হয় বিস্ময়কর অভূতপূর্ব এক আক্রমণে। এর জন্যে দায়ী করা হয় একটি মুসলিম গ্রুপকে। সন্দেহের কাঠগড়ায় দাঁড় করানাে হয় সব মুসলমানকেই। তারপর মুসিল বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত পর্যন্ত ধ্বংস-বিপর্যয়ের অনেক ঝড় বয়ে