“পড়ার বইয়ের বাইরে পড়া” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বইয়ের জগতের মায়াজালে একবার জড়িয়ে পড়লে সেখান থেকে বেরােতে পারা মুশকিল। লেখালেখির তাগিদে কিংবা । তথ্যসংগ্রহের প্রয়ােজনে বই পড়া জরুরি। সেই পড়া কাজের পড়া। তখন তার লক্ষ্য স্পষ্ট। দেশ-বিদেশের বইয়ের জগতে ঘুরে পাঠক সংগ্রহ করে মনের আহার, মননের খােরাক। আবার নিছক আনন্দ পাওয়া এবং সে-আনন্দ অন্যদের মধ্যে সঞ্চারিত করার জন্যও মানুষ বই পড়ে। সেই বই অকাজের বই। সে পড়া অকাজের পড়া। এই গ্রন্থের লেখক, তার গবেষণাধর্মী নানাস্বাদের গ্রন্থ রচনার সময় পড়েছেন বিপুল সংখ্যক কাজের বই। তাঁর নিজের কথায়, “সত্যি বলতে কী, এই “কাজের পড়া”-তাই কেটে গেছে জীবনের বেশির ভাগ সময়। তবু এরই ফাকে-অবসরে লেখক হাতে তুলে নিয়েছেন বহু অকাজের বই। কখনও বিচিত্র সব অভিধানে, কখনও বা মানচিত্রনির্মাতাদের রােমাঞ্চময় পৃথিবীতে, ছাপা বইয়ের আগে যে-বই কিংবা শুধুই ছাপা বইয়ের ভুবনে লেখক মনের আনন্দে ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেই আনন্দ-পাঠের যৎসামান্য নিয়ে রচিত হয়েছে এই বই। এ-বইয়ে কোনও মূল পরিকল্পনা নেই। নেই কোনও বিষয়-কেন্দ্রিকতা। যেন পুষ্পিত উদ্যানে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে উড়ে বেড়ানাে। লেখকের ভূমিকা যেন পল্লবগ্রাহীর। তার এই সঞ্চয়ন কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের অভিমুখী নয়। ঠিকই, তবে বিষয়-বৈচিত্র্যে ভরপুর। এই বই এক অন্যস্বাদের রচনা।