“দেশ সুবর্ণজয়ন্তী গল্প সংকলন” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বাংলাদেশে ‘হিতবাদী’ পত্রিকা না এলে কবি-নাট্যকার-প্রাবন্ধিক-ঔপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথ কটি ছােটগল্প লিখতেন, এ-নিয়ে একদা সংশয় প্রকাশ করেছিলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। বস্তুত, ছােটগল্পের সৃজন-প্রেরণা এবং বিকাশের সঙ্গে পত্রপত্রিকার চাহিদার যােগ যে কত নিবিড়, সাহিত্যপাঠকের তা অজানা নয়। পত্রপত্রিকার। স্থানসংকীর্ণতার শাসনে নিয়ন্ত্রিত হয়ে, মাত্রই গত শতকে, এই মহাপৃথিবীতে সন্দর্ভ সাহিত্যের স্থান দখল করে নিয়েছে এই নতুন শিল্পমাধ্যমটি । নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষাতেই বলা যায়, “আধেয় ছিল যুগচেতনায়, আধার আনল পত্র-পত্রিকা।” রবীন্দ্রনাথই বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছােটগল্পকার এবং সেই হিসেবে বাংলা ছােটগল্পের এক শাে বছরও পূর্ণ হয়নি এখনাে। অথচ একথা আজ সুবিদিত যে, কবিতার মতাে ছােটগল্পের ক্ষেত্রেও বাংলা সাহিত্যের যাবতীয় গর্ব ও সমৃদ্ধি, বিশ্বসাহিত্যের সমকক্ষতা । আর এই সময়সীমার মধ্যে দেশ’ নামের যে-পত্রিকা বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহান্তে প্রকাশিত হচ্ছে, এবং যার পৃষ্ঠায় এ-যাবৎকাল স্থানপ্রাপ্ত ছােটগল্পের সংখ্যা প্রায় পাঁচ সহস্র, বাংলা ছােটগল্পের ক্ষেত্রে সে-পত্রিকার পৃষ্ঠপােষকতার ভূমিকা যে কতখানি তা সহজেই অনুধাবনযােগ্য। অনুধাবন করেছেন এ-যুগের এক সমালােচকও। ‘দেশ’ পত্রিকায় বিগত অর্ধশতকে।