“পরিবাড়ির পরি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
একলা দাঁড়িয়ে আছে পরিবাড়ির পরি। মাথার ওপর দু’হাত দিয়ে অর্ধবৃত্তাকার আকাশকে ধরে রেখেছে জীর্ণ চিলেকোঠায়। সময়ের সাক্ষী সে। পরিবাড়ির চারপাশ ঘিরে নীচের পৃথিবীতে অনেক মানুষ। শরদিন্দু স্যার, তিথি, অভ্র, নীলা, আরও অনেক মানুষ। ক্লাসে কিংশুকের খাতায় বৃত্ত আঁকতে গিয়ে শরদিন্দু দেখলেন তার কম্পাস ধরা হাত আর ঘুরছে না। খাতার পাতায় আঁকা হয়ে আছে সার সার অর্ধবৃত্ত। তিথি-অভ্র-নীলারাও সবাই চেষ্টা করছে নিজেদের জীবনবৃত্তকে মেলাবার। কিংশুকের বাবা তো খালি বলেন, মিলবে না, মিলবে না, কিছুতেই মিলবে না। বহুদিন প্রবাসে থাকার পর পরিবাড়িতে ফিরে এসেছেন বসুধরা। তার এই ফিরে আসাও কি বহুদিন আগে আঁকা কোনও অর্ধবৃত্তকে মেলাবার জন্য? একটা জিনিস গচ্ছিত রেখেছিলেন তিনি পরির কাছে। পরিবাড়ির পরি কি পারবে মানুষের জীবনের ছোট-বড় অসম্পূর্ণ বৃত্তগুলোকে মিলিয়ে দিতে? নাটকীয়তায় ভরা এই উপন্যাসে জীবন রহস্যময়।