হলাহল-কোলাহল থেকেও নিজেকে আড়ালে বা দূরে রেখে নক্ষত্রের হাটে, গান্ধর্বলোকে কিংবা কয়লা-খনির গভীর খাদে অন্তর্হিত পর্যটন কবিকেই মানায়। বিশেষত কবি খালেদ হোসাইনকে।
প্রত্যক্ষ কাল ও ভূমিকে আত্মলগ্ন করতে ত্রিলোকের ধ্রুপদী মোহ অতিক্রম সবাই করে না, কবি করেন। তাই ডাক্তারের স্টেথোস্কোপ বুকে নিয়ে হৃদ-উৎসারিত আন্দোলনই পারে ‘কাগজের বাঘেদের’ ভিত্তিমূল নাড়িয়ে দিতে পারেন কবিই, পারেন তিনি ভাবতে, পারেন রক্তের উচ্চ-চাপকে স্বাভাবিক করতে একটি মাত্র চুম্বনই যথেষ্ট।
আর শব-বাহকের মতো অনর্থক প্রাণ বয়ে বেড়াবার বদলে পলাতক সুন্দরের আকাক্সক্ষায় জাগরণে যায় না সবার নিশি। এই ঘুম আর জাগরণময় জৈবনিক বাতাবরণে খালেদ হোসাইন মগ্ন হয়ে থাকেন নিজস্ব ক্ষতে ও ব্রতে। কিন্তু কে বা কারা কবির ভাবনাবিশ্বকে তছনছ করতে বারবার হানা দেয়? তাদের জানিয়ে দেয়াই ভালো, কবির ব্রত আছে, তাকে বিব্রত কোরো না।