পানকৌড়ির রক্ত

৳ 200.00

লেখক আল মাহমুদ
প্রকাশক আদর্শ
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848040058
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৮০
সংস্কার 2nd Edition, 2019
দেশ বাংলাদেশ

“পানকৌড়ির রক্ত” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
ততদিন আল মাহমুদ কবি হিসেবেই খ্যাত ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত বের হওয়ার পরপরই বাংলা সাহিত্য আরেকটি ঝাঁকুনি খায়। সমকালীন লেখক, পাঠক ও সমালােকরা নড়েচড়ে বসেন। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থের পানকৌড়ির রক্ত ও জলবেশ্যা তাে আজতক বাংলা সাহিত্যে এক ও অদ্বিতীয়ম। অনুভূতির এমন উত্তুঙ্গতা, ঘটনার এমন অভিনবত্ব, নির্মিতির এমন চমৎকারিত্ব বাংলা সাহিত্য আর দেখেনি।
প্রখ্যাত কথাশিল্পী আবু রুশদ মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশে আল মাহমুদের সমতুল্য অন্য কোনাে কবির হাত থেকে এত কয়টা ভালাে গল্প বেরিয়েছে বলে আমার জানা নেই। এটা তার সাহিত্যিক গুরুত্বে ঈর্ষণীয় এক মাত্রা যােগ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ স্রষ্টা আল মাহমুদের প্রথম গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত-এর আদর্শ প্রকাশিত প্রথম সংস্করণ মাত্র এক বছরেই ফুরিয়ে যায়। দ্বিতীয় সংস্করণও পাঠকের সমান ভালােবাসা অর্জন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন আল মাহমুদের কবিতার বই পড়েননি এমন সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। গুণী এই কবি একাধারে একজন সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার কবি পরিচয়। আধুনিক বাংলা কবিতা নানা দিক থেকে তার কাছে ঋণী থাকবে। বাচনভঙ্গি আর রচনাশৈলীতে তার কবিতা সমকালীন যেকোনো কবির তুলনায় অনন্য। ‘কবিতাসমগ্র’ (দুই খন্ড) ‘উড়ালকাব্য’, ‘সোনালি কাবিন’, ‘আল মাহমুদের স্বাধীনতার কবিতা’, ‘প্রেমের কবিতা সমগ্র’, ‘আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ইত্যাদি কবিতার বই নিয়ে আল মাহমুদ কবিতাসমগ্র। এছাড়াও আল মাহমুদ উপন্যাস সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে তিন খণ্ডে। জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক টানাপোড়েন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও প্রেক্ষাপটসহ সমাজ ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব স্থান পেয়েছে আল মাহমুদ এর বই সমূহ-তে। ‘কালের কলম’, ‘লোক লোকান্তর’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’, ‘আরব্য রজনীর রাজহাঁস’, ‘গল্প সমগ্র’, ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য লেখা। আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তার পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। শিক্ষাজীবনেই তিনি লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল আর মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলী পাঠ করতে করতে নিজের কবি প্রতিভা আবিষ্কার করেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। কিছুকাল পরই এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পুরো ৬০-এর দশক জুড়ে তিনি অসংখ্য কবিতা রচনা করেন এবং কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ পত্রিকায় সরকার বিরোধী লেখালেখির কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয় তাকে। ১৯৭৫-৯৩ সাল পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে কাজ করে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য রচনাশৈলীর জন্য ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘একুশে পদক’, ‘জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার’, ‘নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক’ সহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ