ফ্ল্যাপে লিখা কথা
… দলের ভেতর আত্মসমালোচনার সুযোগ থাকলে, সংসদে দলীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা ও তার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অধিকার স্বীকৃত হলে, সেক্ষেত্রে আমাদের গোটা রাজনীতির চালচিত্রটাই নিশ্চিত অন্য রূপ পেত।
… বাংলাদেশের জন্মের পর বলা যায় একেবারে গোড়া থেকেই এদেশের সরকার, আমলাতন্ত্র, তথাকথিত সিভিল সমাজ, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় সর্বত্র বিশ্ব-পুঁজিবাদী স্বার্থের এজেন্টারা তাঁদের শক্ত অবস্থান নিয়ে আছেন। …
… দেশ এক হলেও, আমরা দুই জাতি। যে-কোনো ব্যাপারে আমাদের প্রতিক্রিয়াও তাই দু-রকম, প্রায় ক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী। একের জন্য যা অগৌরবের অন্যের জন্য তা তৃপ্তির। একের জন্য যা শোকের অন্যের জন্য তা সুখের। …
… দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যেও সম্পর্কটা সব সময় কেবল সহযোগিতার নয়, কোথাও কোথাও তা প্রতিযোগিতারও। কেবল আদানপ্রদানের নয়, দর কষাকষিরও। জাতীয় স্বার্থ বা সার্বভৌমত্বকে জলাঞ্জলি দিয়ে কিংবা পরনির্ভর ও সম্পূরক অর্থনীতির মূল্যে যদি কোনো সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা বা তাকে টিকিয়ে রাখতে হয়, তবে তাকে আর যাই হোক বন্ধুত্ব বলা যাবে না।