যকের ধন

৳ 180.00

লেখক হেমেন্দ্রকুমার রায়
প্রকাশক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
আইএসবিএন
(ISBN)
9841802457
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৯১
সংস্কার 12th Editor, 2017
দেশ বাংলাদেশ

“যকের ধন”বইটির প্রথমের কিছু অংশ:
মড়ার মাথা
ঠাকুরদাদা মারা গেলে পর, তাঁর লােহার সিন্ধুকে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে একটি ছােট বাক্স পাওয়া গেল। সে বাক্সের ভিতরে নিশ্চয়ই কোনাে দামি জিনিস আছে মনে করে মা সেটি খুলে ফেললেন। কিন্তু তার মধ্যে পাওয়া গেল শুধু একখানা পুরনাে পকেট-বুক, আর একখানা ময়লা কাগজে মােড়া কী একটা জিনিস। মা কাগজটা খুলেই জিনিসটা ফেলে দিয়ে হাউমাউ করে চেঁচিয়ে উঠলেন।
আমি ব্যস্ত হয়ে বললুম, “কী, কী হল মা?”
মা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে মাটির দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললেন, “কুমার, শিগগির ওটা ফেলে দে!”
আমি হেঁট হয়ে চেয়ে দেখলুম, একটা মড়ার মাথার খুলি মাটির উপরে পড়ে রয়েছে! আশ্চর্য হয়ে বললুম, “লােহার সিন্ধুকে মড়ার মাথা! ঠাকুরদা কি বুড়াে বয়সে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন?”
মা বললেন, “ওটা ফেলে দিয়ে গঙ্গাজল স্পর্শ করবি চল্।”
মড়ার মাথার খুলিটা জানালা গলিয়ে আমি বাড়ির পাশের একটা খানায় ফেলে দিলুম। পকেট-বুকখানা ঘরের একটা তাকের উপর তুলে রাখলুম। মা বাক্সটা আবার সিন্ধুকে পুরে রাখলেন।… | দিনকয়েক পরে পাড়ার করালী মুখুয্যে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে এসে হাজির। করালী মুখুয্যেকে আমাদের বাড়িতে দেখে আমি ভারি অবাক হয়ে গেলুম। কারণ আমি জানতুম যে ঠাকুরদাদার সঙ্গে তার একটুও বনিবনা ছিল না, তিনি বেঁচে থাকতে করালীকে কখনাে আমাদের বাড়িতে দেখিনি।
করালীবাবু বললেন, “কুমার, তােমার মাথার ওপরে এখন আর কোনাে অভিভাবক নেই। তুমি নাবালক। হাজার হােক তুমি তাে আমাদেরই পাড়ার ছেলে। এখন আমাদের সকলেরই উচিত, তােমাকে সাহায্য করা। তাই আমি এসেছি।” | করালীবাবুর কথা শুনে বুঝলুম, তাকে আমি যতটা খারাপ লােক বলে ভাবতুম, আসলে তিনি ততটা খারাপ লােক নন। তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে বললুম, “যদি কখনাে দরকার হয়, আমি আপনার কাছে আগে যাব।”
করালীবাবু বসে বসে একথা সেকথা কইতে লাগলেন। কথা প্রসঙ্গে আমি তাঁকে বললুম, “ঠাকুরদাদার লােহার সিন্ধুকে একটা ভারি মজার জিনিস পাওয়া গেছে।”
করালীবাবু বললেন, “কী জিনিস?”

জন্ম ১৮৮৮, কলকাতা। সাহিত্যচর্চার শুরু মাত্র ১৪ বছর বয়সে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। খেয়ালি জীবন, ঘুরে বেড়িয়েছেন সাহিত্য সংস্কৃতির নানান স্রোতে। ‘ভারতী’ গােষ্ঠীর সাহিত্যিক হিসেবেই প্রথম পরিচয়। ‘বসুধা’ পত্রিকায় প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। বহু গান লিখেছেন, নাচ শেখাতেন, নাটকও লিখেছেন। সম্পাদনা করেছেন নাটক বিষয়ক সাময়িকপত্র ‘নাচঘর’। পরবর্তী সময়ে সম্পাদক ছিলেন ছােটদের বিখ্যাত পত্রিকা রংমশাল-এরও। কিশাের সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। লিখেছেন অজস্র বই। বয়স্ক পাঠকদের জন্য কাব্য-অনুবাদে ‘ওমর খৈয়ামের রুবায়ত’ বা ছােটদের জন্য ‘যকের ধন, ‘দেড়শাে খােকার কাণ্ড’, ‘ঝড়ের যাত্রী’, ‘কিং কং’ সমান আদৃত। বিখ্যাত প্রবন্ধের বই ‘বাংলা রঙ্গালয় ও শিশিরকুমার। জীবনাবসান ১৮ এপ্রিল ১৯৬৩।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ