“ত্রয়ী উপন্যাস” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
এর মধ্যে দিপার আকাশে উদয় হয় মিউচাল বন্ধু ফয়সাল। ফয়সাল নামের নক্ষত্র আলােহীন ছায়াহীন মায়াহীন অন্ধকারময় জগতকে নতুন আলােয় ভরে দেবার চেষ্টা করে। ওর সযতন ছোঁয়ার নিবিড় মমতে দিপার চোখে অন্য এক আকাশ ভেসে ওঠে। সে আকাশের সাঁ সাঁ প্রজাপতি লক্ষ রংয়ে হেসে ওঠে। লালনীল- হলুদ- লাল, নীল-সবুজ-হলুদ-লাল, হলুদ-কমলা বেগুনি-লাল এভাবেই হেসে। ওঠে রং বেরং রংধনুর আসহকলা। এক সময় পুরনো স্মৃতির চাপ হালকা হয়ে আসে। যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণজীবনটা যেন পাহাড়ের মতােই, আঁধারের মতােই শীতল। দিপা ভাবে একি জীবন নাকি অন্য কিছু? একদিন যে জীবনে সত্যিকারের জীবনের কোনাে চিহ্ন ছিলাে। , সবুজের সজীবতা ছিলাে না, বৃক্ষের ছায়া ছিলাে না, ছিলাে না ফুল আর ফলের গন্ধ। কিন্তু এ সবকিছুর সমষ্টিগত সৌন্দর্য হার মানে প্রাণময় এ পৃথিবীর মায়াময় সব স্বজনের-একক এ দুরন্ত সৌন্দর্যের কাছে। আর এক মায়াবতী জীবনের জালে জড়িয়ে পড়ে দিপা।