“মেঘফুল তোমার জন্য” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
…এখানকার নিঃসীম নদীটা চিরযৌবনা
যেন/ চাইলেই বর্ষার আকাশ নামে হুটহাট/ এখানে বিশ্রামের বসন্ত অনন্ত বিগলিত/ মৃত মৃত্তিকা প্রতিদিন সবুজ প্রাণ আনে/ পৃথিবীর নাভি থেকে উদ্ভূত এ এক অবাক নগরী/ যার উঠোন জুড়ে আকাশজুড়ে সর্বত্রই ভালােবাসা/ অদ্ভুত দীপ্তিময়তায় এখানে মেঘের ফুল হাসে…’
…আমার জন্য, কেবল আমার জন্য পাল্টে যাবে/ তােমার আকাশটার রঙ, বদলে যাবে কক্ষপথও/ হাসির রােদে কেটে যাবে আশঙ্কার মেঘ/ উন্মুখ উন্মাদনার দৌড়ে গতি পাবে স্বপ্ন। নির্ভরতায় পাশাপাশি হাঁটবাে হাজার বছরের পথ…
..একটা দালিলিক জীবনে একটু স্বপ্নের যাপন/ দিনের কোলেই টুপ করে ঝরে দিনান্ত শিশির বিন্দু/ সৌম্যের সারথি বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ আমি মুগ্ধ দর্শক/ কী পবিত্র-অমলিন-অবিচ্যুত ঋজুতা তােমার/ প্রখর সৌরতাপেও হিমশীতল হাসির ফোয়ারা/ প্রণয়ের গােলাপ হাতে কাছে দূরে আমি তীর্থের কাক……’
…এভাবেই একটি চরিত্রের প্রতি কবির অসীম মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে কবিতার একেককটি পংক্তি জুড়ে। এই এ চরিত্রের সঙ্গে কবি হেসেছেন, কেঁদেছেন- প্রাপ্তির আনন্দে ভেসেছেন। আবার কখনাে কখনাে পুড়েছেন অপ্রাপ্তির দহনজ্বালায় । সারল্যের উপমায় কখনাে প্রকৃতি এঁকেছেন আবার কখনাে কখনাে ওঠে এসেছে যান্ত্রিক জীবন । মেঘফুল কেবল একটি চরিত্র নয়, প্রকৃতি-স্বপ্ন আর জীবন ওঠে এসেছে মেঘফুলের জন্য লেখা পংক্তিগুলােয় । কবির গদ্যচর্চা থাকলেও এটাই তার প্রথম এবং একমাত্র কাব্যগ্রন্থ।