কৌতুকের বই বলতে আমাদের দেশে যা ছাপানাে হচ্ছে, তাতে পুরনাে কৌতুকেরই চর্বিতচর্বন চলে। একটা বইয়ের একশ কৌতুক পড়লে হয়তাে দেখা যাবে – এর মধ্যে ডজন দেড়েক নতুন, বাকি সব আগেই জানা। তখন পাঠক আফসােস করেন বেহুদা পয়সা খরচ করেছেন বলে! আবার, বাজারে চলতি কৌতুকগ্রন্থগুলাে চার-পাঁচ লাইনের কৌতুকে ঠাসা। বড়জোর তিরিশ-চল্লিশ শব্দের এই কৌতুকগুলাে পড়ার সময়েই ভালাে লাগে, সাময়িক আনন্দ দেয়, কিন্তু এর রেশটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। যদি এই গণ্ডি থেকে বেরােন যায়, অর্থাৎ দুইশ থেকে আড়াইশ শব্দের একটি গল্প ফেঁদে কৌতুকটা পরিবেশন করা যায়, এবং সেই গল্পটা যদি আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা যায়, তাহলে তার প্রভাবটা হবে বেশি। এরকম কৌতুক পাঠকের মনে-মগজে গেঁথে যাবে। সে গল্প এবং কৌতুক দুটোরই মজা পাবে, আনন্দটাও দীর্ঘস্থায়ী হবে।