অপরিচিত মানুষের শহর ঢাকা। কেইবা কাকে চেনে? অথচ প্রতিদিন একই ভীড়ে গায়ে গা লাগিয়ে হাঁটা। ৯টা-৫টার চক্করে লোকাল বাস ধরতে এক সাথেই ছুটতে হয়। এতো এতো অপরিচিত মানুষ নিয়ে শহরটাতে প্রতিদিন চলি আমরা। কখনো তো ইচ্ছে করে, রিকশা ভাড়া দেয়ার সময় ক্লান্ত রিকশাওয়ালার নামটা জানতে! সব মানুষেরই তো গল্প থাকে। সমান্তরাল গল্পগুলো অল্প কথায় গুছিয়ে দিলেই হয়ে যায় কবিতা। কতোজনই তো কতোভাবে লিখলেন। রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের ভাণ্ডারে কি নেই? আলাদা করে জীবনানন্দ, শহীদ কাদরী, আবুল হাসান, হেলাল হাফিজ, জয় গোস্বামী তো কম কবিতা লেখেননি। তারপরেও কি বাংলা কবিতায় আরও কিছু লেখার বাকি আছে? সে হিসেব না মিলিয়ে কিছু তরুন প্রতিবছরই কাঁপা হাতে কাটাকাটি করে লেখা কবিতা নিয়ে হাজির হয় আস্ত একটা বই নিয়ে। সেরকমই অপরিচিত মানুষের ভীড়ে ঠাসা শহরে সাতাশ বছরের এক যুবক বইমেলায় দাঁড়িয়ে কাঁপে। শীতে নয় উত্তেজনায়। প্রথম বইয়ের রোমাঞ্চে। অপরিচিত হিসেবেই সবার সাথে পরিচিত হতে চায় সে। তাই বইয়ের নামও অপরিচিত পরিচয়ে।