”ভক্ত” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা :
ভক্ত একজন ধর্মজাজক যুবক। এক বর্ষায় সে জল জঙ্গলের পথ পাড়ি দিতে গিয়ে তিন ধরণের মানুষের দেখা পায় । প্রথমজন এক কৃষক যে তার কন্যার জন্যে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতে চায় না। দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হয় এক প্রেমিক যুগলের সাথে। ছেলেটি একজন পেইন্টার আর তার প্রেমিকা দক্ষিণা এক সাধারণ নারী। তৃতীয়ত এক অর্ধউন্মাদ কিশোরীর সাথে দেখা হয় যার নাম রেয়াতি। যে ভক্তকে তার উপাসনালয়ে আমন্ত্রণ জানায় । যার অবস্থান জল জঙ্গলের সাধারণ বসতির ভিতর। এই তিনের ভিতরে ভক্ত জগতের তিন ধরণের ব্যাধি খুঁজে পায়। জীবন বাজি রাখার ভয়, জীবন সম্পর্কে উদাসিনতা এবং জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণের অভাব। ভক্ত এই তিন ব্যাধির নিরাময়ের জন্যে স্বর্গের কাছে পণ করে। ভক্তর বিশ্বাস ঈশ্বরকে, হয় সবটুকু দিতে হবে নাহলে একটুও না। পেইন্টারকে ত্যাগ করে ভক্তর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয় দক্ষিণা। অচিরেই ভক্তর সামনে পরীক্ষা আসে। তার মা মারা যান ঈশ্বরের কাছে তার পাপের জন্যে ক্ষমা না চেয়েই। তারপর তার সন্তান অসুস্থ হয়। ডাক্তার পরামর্শ দেন তার উপসনালয় ছেড়ে স্বাস্থ্যকর স্থানে চলে যাওয়ার জন্যে। দক্ষিণা চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে কিন্তু ভক্ত তার উপাসনালয় ছেড়ে যেতে রাজি হয় না। সে ঈশ্বরের দেওয়া পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে চায়। তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়। ভক্ত তখনো তার বিশ্বাসে অটল থাকে।