“মাযহাব ও তাকলীদ কি ও কেন” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
এই যে বিদ্যুতের আলােয় উদ্ভাসিত আজ সারা দুনিয়া একি লক্ষ কোটি মানুষের আবিষ্কার ? পাতালের ট্রেন থেকে আকাশের বিমান পর্যন্ত সকল আবিষ্কারই তাে বিশেষ একজন বিজ্ঞানী কিংবা বিজ্ঞানীদের ক্ষুদ্র কোন টিমের আবিষ্কার। অত:পর সেই ক্ষুদ্র দল সাধ সপ্ন সামর্থ সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে আবিষ্কার করেছেন কিছু রীতি পথ ও পদ্ধতি। সেই রীতি পথ ও পদ্ধতির অনুসরণ করেই এগিয়ে চলেছে পৃথিবী অসামান্য সফলতা ও প্রাপ্তির দিকে। অগ্রসরমান পৃথিবীর এই তাে প্রকৃত তত্ত্ব। আমাদের ধর্মীয় পরিভাষায় একেই তাকলীদ’ বলে! | এখন কেউ যদি বলে, তাকলীদ হলাে বদ্ধতা অন্ধত্ব ও মূর্খতা! অতএব, অতীতকালের বিজ্ঞানীদের ওই ক্ষুদ্র শ্রেণীর ফমূলাকে আমরা মানতে যাব কেন? পাতালে ঘুরব আমাদের নিজস্ব মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে। আকাশে উড়ব আমাদের জ্ঞান অভিজ্ঞতা খাঁটিয়ে। আমার ঘর আমার চারপাশ আলােকিত করব ওদের আবিষ্কার-বিদ্যুত দিয়ে নয়- আমার মেধার আবিষ্কার দিয়ে! মেধা বুদ্ধি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার এই অহমিকা যে মুহূর্তে অন্ধকার করে তুলবে আমাদের চারপাশ এতে সন্দেহ নেই! কারণ, পৃথিবীর সকল ক্ষেত্রের সকল উন্নতির মূল ভিত্তি হলাে, যে কোন বিষয়ে প্রাজ্ঞ বিজ্ঞ অভিজ্ঞজনের জীবন সাধনার ফলাফলকে অনুসরণ করে অবশিষ্ট সাধারনজনদের এগিয়ে যাওয়া। এই রীতি প্রাগৈতিহাসিক। আমাদের ইসলামী পরিভাষায় একেই বলে তাকলীদ!
বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন….