“বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” ফ্ল্যাপে লেখা কথা:
হাজার বছরের বাঙালির জাতিসত্তা আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ একই সূত্রে গাঁথা। এ মতাদর্শের চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির পুনর্জনমের মাধ্যমে, যা অস্তমিত হয়েছিলাে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে। সেটা ছিলাে দেশদ্রোহিতা আর বিশ্বাসঘাতকতার চরম খেসারত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের তা দিয়ে গেছেন দেশপ্রেম ও রক্তস্নাত সত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আর তাই বিশ্ব আসনে বাঙালি ও বাংলাভাষা আজ উচু আসনে সমাসীন। চির সবুজের মাঝে লাল সূর্যের এ মানচিত্র কেবল আমাদেরই শােভা পায়।
বঙ্গবন্ধু গােটা বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, সূর্য সন্তান। তিনি আমাদের প্রত্যয়, গর্ব, অহংকার, ভালােবাসা, ত্যাগ। এই সবুজ, শ্যামল, সুজলা, সুফলা মাটির প্রতিটি কণায় তার অস্তিত্ব মিশে আছে। প্রান্তর মাঠে, ধানের শীষে, নৌকার পালে, নদীর কলতানে, পাটের সবুজ পাতায় আর সরিষা, মটরশুটির লতায় ঢেউ দোলানাে বাতাসে, নিরবে নিঃশ্বাসে যেসব গন্ধ পাই—তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্ণাঢ্য তার জীবনালেখ্য এক অক্ষয় অমর কীর্তি গাথা। যতােদিন পৃথিবীতে থাকবে বাংলা, বাঙালি, আর এ জাতির সত্তা তাঁর কাছে ঋণি হয়ে থাকবে। এ ঋণ পিতৃঋণ, রক্তের ঋণ, প্রতিদানের ঋণ। তারপরও এ ঋণ কখনােই শােধ হবার নয়।
এ গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুর জীবনের অসংখ্য কীর্তি আর অবদানের মধ্যে কয়েকটি কণার আলােচনা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ মাত্র।