“ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
“তেলেপুকা তেলেপুকা কুথায় তুমি যাই?
এত্ত কাগুজ কেমুন করে চিবিয়ে তুমি খাউ?
খাচ্ছাে কেনু বই খাতা আর জুতার কালাে ফিতা-
বুটের কালি খাউ নাকি ভাই- মিষ্টি নাকি তিতা?
আমিও খাই শাদা রবার- লাল কলমের কালি,
কেরসিনের তেল খেয়ে ভাই- পট করেছি খালি!
আম্মা মারে ধুরুম ধারুম- আব্বা হাসে তাই।
বাবাকোয়ার সৈন্য নিয়ে কুথায় আমি যাই?”
বাবাকোয়ার মন খারাপ। সে বাবলিকে ধারাপাত শিক্ষা দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মাত্র দুদিন হল। তার নিজের হাতে লেখা ধারাপাতের শিক্ষামূলক বাণী সম্বলিত বই। সেই বই কিনা বাবলি তেলাপােকার মতাে খেয়ে ফেলা শুরু করেছে তার ছােট ছােট দুই জোড়া দাঁত নিয়ে। ইঁদুর কাগজ কেটে গুঁড়া গুঁড়া করে দেয়। কিন্তু তেলাপােকা গুঁড়া ফেলে রাখে না, পুরােটাই খেয়ে নেয়। বাবলিও তেলাপােকার মতাে সেই বই খেয়ে হজম করে ফেলছে। বাবাকোয়া চিন্তিত খুব ব্যাপারটা নিয়ে। আম্মাকে বিষয়টা জানানাের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নােভেরা তাকে কেরসিন তেল খাওয়ার কারণের ধােলাই দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। বাবাই বিষন্ন মুখে ডায়েরি লিখতে বসে গেছে তাই।