“পঞ্চ রঙ্গ” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
যদিও নাট্যগ্রন্থটির নাম ‘পঞ্চরঙ্গ’– আভিধানিক অর্থ মেনে রঙ্গ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। জগৎ সংসারের বিচিত্র রঙ্গ নিয়ে জীবনধারা প্রবাহিত হচ্ছে। এক একটি কাহিনি জীবনের ধারারঙ্গের প্রতিফলন। এই নাট্য-সংকলনের পাঁচটি নাটকের প্রথম নাটকটি রবীন্দ্রনাথের সম্পত্তি সমর্পণ’-এর নাট্যরূপ। এটি নিশ্চয় হাস্যরসাত্মক নাটক নয়। বহুরঙ্গের একরঙ্গ-করুণ রস সম্বলিত। সম্পত্তি সমর্পণের গল্পাংশ যাবার প্রয়ােজন নেই। সর্বজনপঠিত একটি অসাধারণ গল্প। দ্বিতীয় নাটক শরৎচন্দ্রের ‘লালু’সিরিজের একটি অংশের নাটককরণ। শরৎচন্দ্রকে সঠিক জায়গায় রেখে নাটকটি রচনা করা হয়েছে। যেটুকু রদবদল করা হয়েছে তা নাটকের প্রয়ােজনেই। হাস্যরস পরিবেশনের সম্ভাবনা প্রচুর।
তৃতীয় নাটক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষীরের পুতুল’ অবলম্বনে। হাস্যরস সমৃদ্ধ। রূপকথার গল্প। অবনঠাকুরকে বিকৃত না করে তার কল্পনাকে আশ্রয় করে নাটকটি রচিত হয়েছে। চতুর্থ নাটক লীলা মজুমদারের ‘পদিপিসির বর্মিবাক্স’– যদিও এটি কিশাের উপযােগী একটি রােমাঞ্চকর আখ্যান। তবুও এটি যে কোনও বয়সের নাটকপ্রেমিকরা যাতে অভিনয় করতে পারেন, সেইভাবেই নাটক রচনা।
পঞ্চম নাটক নারায়ণ দেবনাথের নন্টে ফন্টে কমিক্স সিরিজের দুটি চরিত্র। কমিকসের চরিত্রগুলিকে তাদের ক্রিয়াকলাপ বজায় রেখেই, হাস্যরসের সমতা বজায় রেখেই ছােটোদের উপযােগী করে নাটকটি লেখা হয়েছে। আশা করি ছােটাদের বিশেষ করে কিশােরদের কাছে নাটকটি সমাদৃত হবে। হাস্যরসের উপাদানও আছে প্রচুর। “পঞ্চ রঙ্গ” বইয়ের সূচি:
পাঁচটি নাটকের সংকলন :
সম্পত্তি সমর্পণ
লালু
ক্ষীরের পুতুল
পদিপিসির বর্মিবাক্স
নন্টে আর ফন্টে