দোতারের মতো মানুষের জীবন-মন,সময় ও সমাজের কঠিন কলকাঠিতে বাঁধা।শত টানলেও ছিঁড়ে ফেলা যায় না।তাই একটায় টোকা পড়লে আশ-পাশের দশটা টুনটুন করে বাজে,রক্ত ঝরে।সেজন্যই ব্যক্তি সমাজ-জীবন কালে কালে পাল্টায়।তাই বোধকরি শেখ লুৎফুরের ‘অসুখ’ গল্পে নিরীহ মুনিম অতটা দানব হয়ে ওঠে।যখন তার ভুল ভাঙ্গে ,তখন চেয়ে দেখে তার সামনে নিজের স্ত্রী নয় কামরাঙা আচান্নক এক নারী দাঁড়িয়ে আছে।যেমন ‘আগুনের রঙ’গল্পে কিশোরী পলি,সব কিছু হারিয়ে,ভাঙা পাতিলের মতো মন আর দুই চোখে আর্ত-হাহাকার নিয়ে নিজেকে কাঠগড়ায় তোলে।‘বাঘ’গল্পের বাঘ,‘ফাটাবাঁশ’ গল্পের রহমান-নীলূ,‘শিকার’ গল্পের বুড়ো মুন্ত সময়ের ফের-চক্করে পড়ে প্লেগের জীবাণূবাহী অসুস্থ ইঁদুরের মতো কুটকুট করে চিরায়ত মূল্যবোধগুলো কাটতেই থাকে।