আমি জলপাইগুড়ি টাউনের ছেলে। শিক্ষিত মানুষজনের ছােট টাউন জলপাইগুড়ি। শহরে শিক্ষা, সাহিত্য, খেলাধুলাে, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের একটা হাওয়া বইত। হাওয়াটা আসত সরাসরি কলকাতা থেকে। একটা ইনটারমিডিয়েট কলেজ ৪২ সালে হয়েছিল। পরে সেখানে বি. এ. পড়া যেত বটে কিন্তু বি. এস. সি. পড়া যেত না। বিজ্ঞানের ছাত্ররা কলকাতা চলে আসত। বি. এ পড়তেও অনেকে আসত। তারা ল-কলেজ সেরে যেতেন। তা ছাড়া, কলকাতা ছাড়া এম-এ পড়ার জায়গা কোথায়? এঁরাই দার্জিলিং মেল আর নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্রেস মারফৎ কলকাতার তাজা হাওয়াটা সবসময়ই বইয়ে দিতেন। অনেক উকিলবাবুর বাড়িতে ইংরেজি ও বাংলা বইয়ের সংগ্রহ থাকত। রাজনীতিও ছিল জেলখাটা মানুষজনও ছিলেন। তিরিশের দশকের শেষ দিকে ঐ উকিলবাড়ির ছেলেরা কমিউনিস্ট হয়ে ফিরতে শুরু করে।