“কথা অমৃতসমান (ভলিউম – ২ “ বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা:
মহাভারত মানে মহা-ভারত। যা এখানে নেই, তা অন্য কোথাও নেই। আর আর এখানে যা আছে, তা অন্য কোথাও নিশ্চয়ই আছে। আমরা এই নিরিখেই গ্রন্থটাকে দেখতে চেয়েছি—তারা সবাই অন্য নামে আছেন মর্ত্যলােকে। আজকের এই সর্ব-সমালােচনামুখর, ঈর্ষাসূয়ায় হন্যমান শতাব্দীর মধ্যে দাড়িয়ে শত শত শতাব্দী-প্রাচীন আরাে এক সাসূয় সমাজের কথা বলতে লেগেছি, যদিও সেখানে প্রাতিপদিক বিচলনের সঙ্গে সঙ্গে একটা শব্দ বার বার নিনাদিত হয় এবং সেটা ধর্ম—সে ধর্ম একদিকে নীতি এবং নৈতিকতা, অন্যদিকে সেটা ‘জাস্টিস’, শৃঙ্খলা, অরডিন্যান্স’ এমন কী আইনও। মহাভারত অন্যায় এবং অধর্মকে সামাজিক সত্যের মতাে ধ্রুব বলে মনে করে, কিন্তু। সেটা যাতে না ঘটে তার জন্য অহরহ সচেতন করতে থাকে প্রিয়া রমণীর মতাে। আমরা সেই মহা-ভারতকথা বলেছি এখানে, যা শতাব্দীর প্রাচীনতম আধুনিক উপন্যাস।।